গত বছরই প্রথম দুই দেশ হিসেবে পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফিতে সমতা আনার ঘোষণা দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড ও ভারত। এবার তাদের পথে হাঁটছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। এখন থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার নারী ক্রিকেটাররা পুরুষদের সমান ম্যাচ ফি পাবেন বলে জানিয়েছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ)।
সিএসএ দক্ষিণ আফ্রিকান মেয়েদের সুখবরটি দিয়েছে নারী ক্রিকেটে নতুন ঘরোয়া কাঠামো প্রকাশ অনুষ্ঠানে। চলতি বছর মেয়েদের আইসিসি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, যা প্রোটিয়া ক্রিকেটে যে কোনো সিনিয়র দলের প্রথম ফাইনাল। এর আগে গত বছর মেয়েদের আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও খেলে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা। দেড় বছরের ধারাবাহিক ভালো ক্রিকেটকে আরও ওপরে তুলে নিতে মেয়েদের উৎসাহিত করার উদ্যোগ হিসেবে নতুন ক্রিকেট লিগও চালু করছে সিএসএ।
সিএসএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফোলেতসি মোসেকি বলেন, ‘মেয়েদের ক্রিকেটে পেশাদার লিগ চালু করতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত। এটা আমাদের জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অসাধারণ অর্জনকে উদ্যাপন এবং আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ খুলে দেওয়ার উদ্যোগ।’
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকার ছেলে ক্রিকেটাররা প্রতি টেস্টের জন্য পেয়ে থাকেন সাড়ে ৪ হাজার ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় তা ৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। প্রত্যেক ওয়ানডের জন্য ১ হাজার ২০০ ডলার (১ লাখ ৩১ হাজার টাকা) এবং আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রতি ম্যাচের জন্য ৮০০ ডলার (৮৭ হাজার ৭২১ টাকা) পেয়ে থাকেন প্রোটিয়া ছেলে ক্রিকেটাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটেও একই সুবিধা পেতে যাচ্ছেন নারী ক্রিকেটাররা। নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে ১১ ক্রিকেটারকে চুক্তির আওতায় আনা হবে। আগে চুক্তিতে ছিলেন ছয় ক্রিকেটার।
এ ছাড়া আইসিসি ইভেন্টে নারী-পুরুষ উভয় ক্রিকেটাররা সমান প্রাইজমানি পাবেন। গত জুলাইয়ে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা তা ঘোষণা করেছে। ২০৩০-এর মধ্যে তা কার্যকর হবে। ২০২০ ও ২০২৩ নারীদের দুই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছিল ১০ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা)। দুই টুর্নামেন্টেই রানার্সআপ দল পেয়েছিল ৫ লাখ ডলার (৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা)। আর ২০২২ নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে প্রাইজমানি ছিল ৩৫ লাখ ডলার (৩৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা)। এর আগে ২০১৭ সালে ছিল ২০ লাখ ডলার (২১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা)।
মন্তব্য করুন