বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় সংকট মুহূর্তে এগিয়ে এলেন দেবব্রত পাল। দেশের অন্যতম সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন দরকার ছিল—কিন্তু সই করার মতো পরিবারের কেউ তখনও হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেননি। এমন পরিস্থিতিতে ডিপিএলের ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করে বড় বিপদ এড়ানোর পথ তৈরি করেন।
বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। দ্রুত সাভারের কেপিজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে হার্ট অ্যাটাক ধরা পড়ে এবং চিকিৎসকেরা জানান, অবিলম্বে এনজিওপ্লাস্টি করে রিং পরানো দরকার।
কিন্তু অপারেশন শুরুর আগে প্রয়োজন ছিল পরিবারের পক্ষ থেকে সম্মতির স্বাক্ষর। দুর্ভাগ্যবশত, তামিম তখন পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে দূরে ছিলেন—তার স্ত্রী, বড় ভাই নাফিস ইকবাল বা রক্ত সম্পর্কের কেউই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। চিকিৎসকদের মতে, সময়ের দেরি হলে বিপদ আরও ভয়ংকর হতে পারতো। সেখানে দেবব্রত পালের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে বেঁচে গেলেন তামিম!
এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ডিপিএলের ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল সামনে এগিয়ে আসেন। সাবেক এই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার ও ক্রীড়া সংগঠক পরিবারের পক্ষে বন্ডে স্বাক্ষর করেন এবং চিকিৎসকদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ করে দেন।
ফলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকরা জরুরি এনজিওপ্লাস্টি করেন এবং তামিমের হার্টে রিং পরান। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, একশতভাগ ব্লকেজ থাকলেও সেটি সফলভাবে ঠিক করা গেছে।
দেবব্রত পালের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ওপেনারকে বড় বিপদ থেকে রক্ষা করেছে। তামিম এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং স্বজনদের সঙ্গে কথা বলছেন।
বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা এখন কৃতজ্ঞ সেইসব চিকিৎসক ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের প্রতি, যারা সংকট মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তামিমের জীবন রক্ষায় ভূমিকা রেখেছেন।
মন্তব্য করুন