টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি জিতে বিদায় নেওয়া বিরাট কোহলি কি আবার ফিরবেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে? বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন তিনি। তবে সামনে রয়েছে আরও বড় মঞ্চ—লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক। ভারতের সম্ভাব্য স্বর্ণ জয়ের স্বপ্ন কি কোহলিকে ফিরতে বাধ্য করবে?
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর আয়োজিত ইভেন্টে কথা বলতে গিয়ে কোহলি মজার ছলে ইঙ্গিত দেন, অলিম্পিকের স্বর্ণপদক জয়ের সুযোগ এলে তিনি ফিরতেও পারেন। পদ্মনাভ ড্রাবিড় স্পোর্টস সেন্টারে আয়োজিত ইনোভেশন ল্যাব ইন্ডিয়ান স্পোর্টস সামিটে সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার ইসা গুহর সঙ্গে আলাপকালে কোহলি বলেন, ‘যদি আমরা ফাইনালে উঠি, তাহলে একটা ম্যাচ খেলেই মেডেল নিয়ে ফিরে আসতে পারি!’
২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে ছয় দলের সম্ভাব্য টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইভেন্টে ভারত পদক জয়ের দৌড়ে থাকবে। স্বর্ণপদক নিশ্চিত করতে এমন বড় মঞ্চে কোহলি কি ফিরতে চাইবেন না?
কোহলি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘যখন খবরটা শুনলাম, খুব খুশি হয়েছি। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগ, বিশেষ করে আইপিএল, ক্রিকেটের এই সংস্করণকে এগিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। অলিম্পিকে চ্যাম্পিয়ন হওয়া হবে অসাধারণ এক অর্জন। প্রথমবারের মতো এমন সুযোগ আসছে, আর আমি নিশ্চিত আমরা পদকের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারব।’
অলিম্পিক আয়োজকরা ক্রিকেটকে যুক্ত করতে চেয়েছেন বিশ্বব্যাপী এর জনপ্রিয়তার কারণে। ক্রিকেটের বিশাল ভক্তসংখ্যা বিশেষ করে ভারত ও উপমহাদেশের বাজার আয়োজকদের আগ্রহী করেছে। কোহলির বিশাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফলোয়ারও এক বড় কারণ। ইতালির সাবেক রাইফেল শ্যুটার এবং লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক আয়োজক কমিটির সভাপতি নিকোলো ক্যাম্প্রিয়ানি ২০২৩ সালে বলেছিলেন, ‘ক্রিকেট ডিজিটাল যুগে নতুন প্রজন্মকে আকর্ষণ করার দারুণ সুযোগ এনে দেবে। ভাবুন তো, বিরাট কোহলির কথা—তিনি বিশ্বের তৃতীয় সর্বাধিক অনুসরণকারী অ্যাথলেট। তার ফলোয়ার সংখ্যা লেব্রন জেমস, টম ব্র্যাডি ও টাইগার উডসের মিলিত ফলোয়ারের চেয়েও বেশি! লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের জন্য এটি হবে আদর্শ সংযোজন।’
এখন প্রশ্ন একটাই—ভারত যদি অলিম্পিক ফাইনালে ওঠে, তাহলে কি কোহলি সত্যিই ফিরবেন? নাকি কথাটা নিছক রসিকতা ছিল? ক্রিকেটভক্তরা নিশ্চয়ই এখন থেকেই অপেক্ষায় থাকবেন!
মন্তব্য করুন