বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম নির্ভরযোগ্য সৈনিক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পরিকল্পনা করছেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারের শেষটা মাঠ থেকেই করতে চান এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। বিসিবিও চায় তার অবসরকে স্মরণীয় করে রাখতে।
মুশফিকুর রহিমের মতো হুট করে অবসরের ঘোষণা নয়, বরং পরিকল্পিতভাবে বিদায়ের পথ খুঁজছেন মাহমুদউল্লাহ। বৃহস্পতিবার বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় উঠে এসেছে তার অবসরের বিভিন্ন দিক। বিসিবির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। এখন প্রশ্ন একটাই— কোন ম্যাচকে বিদায়ের মঞ্চ বানাবেন মাহমুদউল্লাহ?
জাতীয় দলের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর সম্পর্ক ছিন্ন হবে ওয়ানডে থেকে বিদায় নিলে। ইতোমধ্যে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন তিনি। এবার ওয়ানডে ছাড়ার পালা। বিসিবি চায়, তাকে মাঠ থেকে রাজকীয় বিদায় দিতে। এজন্য পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি বিদায়ী ম্যাচ আয়োজনের কথাও ভাবা হচ্ছে। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
২০২৩ বিশ্বকাপেই মূলত নিজের সামর্থ্যের শেষ প্রদর্শনী করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাট হাতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মুম্বাইয়ে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিও উপহার দেন। এরপর আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা ভালো খেলেও জায়গা ধরে রাখা কঠিন হয়ে ওঠে। বিসিবির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় যে তিনি নেই, সেটাও স্পষ্ট হয়ে যায়।
দুই বছর আগেই মাহমুদউল্লাহ বলেছিলেন, অন্তত দুই বছর খেলতে চান। সেই সময় শেষ হয়েছে। জাতীয় দলে বড় কিছু করে দেখাতে না পারলেও বিপিএলে দুইবার শিরোপা জিতেছেন। এখন মূল অপেক্ষা তার বিদায়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আর বোর্ডের পরিকল্পনার। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ দেশে ফিরলেই সবকিছু চূড়ান্ত হবে।
ক্রিকেটপ্রেমীদের অপেক্ষা, মাহমুদউল্লাহর জন্য সত্যিকারের এক রাজকীয় বিদায়ের!
মন্তব্য করুন