বড় মঞ্চ মানেই অন্য রূপে নিউজিল্যান্ড! ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২১ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ—প্রায় সব আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার চমক দেখিয়েছে কিউইরা। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে দাপুটে পারফরম্যান্স দেখিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫০ রানে হারিয়ে আরেকটি ফাইনালের টিকিট কাটল কেন উইলিয়ামসনের দল।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ড যে শুরুটা করেছিল, সেটি এক কথায় দুর্দান্ত। তরুণ তারকা রাচিন রবীন্দ্র ও অভিজ্ঞ কেন উইলিয়ামসনের ব্যাটে চড়ে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে কিউইরা।
শুরুতেই উইল ইয়ং (২১) আউট হয়ে গেলেও, রবীন্দ্র আর উইলিয়ামসনের ব্যাটিং তাণ্ডবে চাপে পড়ে যায় প্রোটিয়া বোলাররা। দুজনের ১৬৪ রানের জুটি নিউজিল্যান্ডকে এনে দেয় শক্ত অবস্থান। রবীন্দ্র ১০১ বলে ১০৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ১৩টি চার ও ১টি ছয়। উইলিয়ামসনও ছিলেন অনবদ্য, মাত্র ৯৪ বলে ১০২ রান করেন ১০টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে।
শেষ দিকে ড্যারিল মিচেল (৪৯ বলে ৩৭) ও গ্লেন ফিলিপসের বিধ্বংসী ব্যাটিং (২৭ বলে অপরাজিত ৪৯) নিউজিল্যান্ডকে ৫০ ওভারে ৩৬২ রানের বিশাল সংগ্রহ এনে দেয়।
৩৬৩ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাও ভালোই শুরু করেছিল। অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা (৫৬) ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেন (৬৯) মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ১০৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। কিন্তু তারপরই বাজিমাত করেন কিউই স্পিনাররা।
মিচেল স্যান্টনার তার জাদুকরী স্পিনে বাভুমাকে আউট করার পর, দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে রাসি ভ্যান ডার ডুসেনকেও বোল্ড করেন। এরপর হেনরিক ক্লাসেনকে (৩) ফিরিয়ে দেন, যা ছিল ম্যাচের মোড় ঘোরানো মুহূর্ত।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে একমাত্র ডেভিড মিলার লড়াই চালিয়ে যান। ৬৭ বলে অপরাজিত ১০০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেও জয় এনে দিতে পারেননি তিনি। বাকিরা ছিলেন নিষ্প্রভ।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১২ রানে থেমে গেলে ৫০ রানের জয় নিশ্চিত হয় নিউজিল্যান্ডের। এতবার ফাইনালে পৌঁছেও এখনো ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফি অধরা নিউজিল্যান্ডের। এবার কি ভাগ্য বদলাবে? কিউইরা কি পারবে ফাইনালে গিয়ে অবশেষে সেই স্বপ্নের শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে? উত্তর মিলবে ভারতের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে!
মন্তব্য করুন