বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স মাঠে যাই থাকুক, তাদের আর্থিক প্রণোদনা বাড়াতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিশেষ করে, টেস্ট ক্রিকেটারদের জন্য থাকছে বাড়তি সুবিধা। সোমবার বিসিবির বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে, যেখানে খেলোয়াড়দের বার্ষিক চুক্তি, ম্যাচ ফি এবং কোচিং স্টাফদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বর্তমানে টি-টোয়েন্টির জন্য ম্যাচ ফি ২ লাখ, ওয়ানডের জন্য ৩ লাখ এবং টেস্টের জন্য ৬ লাখ টাকা। এবার নতুন বর্ধিত পরিমাণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ইঙ্গিত দিয়েছেন, টেস্ট খেলোয়াড়দের জন্য বাড়তি সুবিধা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘পারিশ্রমিক ও ম্যাচ ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে, যারা টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি নিবেদিত, তাদের জন্য বাড়তি সুবিধা রাখা হয়েছে। আমরা চাই, তারা যেন অর্থের কারণে অন্য সংস্করণের প্রতি বেশি ঝুঁকতে বাধ্য না হয়।’
বিসিবির বোর্ড সভায় প্রধান কোচ ফিল সিমন্স ও সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের চুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দুজনের চুক্তির মেয়াদ আগামী মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত থাকলেও বিসিবি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক নবায়ন করতে আগ্রহী।
নাজমুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা আমাদের কোচদের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট। তাদের সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ করব এবং বোঝাপড়া করতে পারলে নতুন চুক্তির ব্যাপারে আগাব।’
জাতীয় দলের নির্বাচক হান্নান সরকার দায়িত্ব ছেড়েছেন, যা সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়েছে। গাজী আশরাফ হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে যোগ দিতে নতুন নির্বাচকের সন্ধান করছে বিসিবি।
এছাড়া, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ দলের নির্দিষ্ট কোনো ফিল্ডিং কোচ নেই। সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে উচ্চমানের একজন কোচ নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে বোর্ডের।
বেতন বাড়ানো, কোচিং স্টাফের চুক্তি নবায়ন এবং ফিল্ডিং উন্নয়নের পরিকল্পনা—সবমিলিয়ে বিসিবির নতুন উদ্যোগগুলো ক্রিকেটারদের জন্য ইতিবাচক বার্তাই দিচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, মাঠের পারফরম্যান্সে এসব পরিবর্তনের প্রভাব কতটা পড়ে।
মন্তব্য করুন