মাত্র ছয় দিনের ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ থেকে পাকিস্তানের দুঃস্বপ্নের মতো বিদায় নিশ্চিত হয়েছে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের আগেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছে বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানরা দল, যা তাদের জন্য এক চরম লজ্জার অধ্যায় হয়ে থাকল।
২৪ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের পাঁচ উইকেটের পরাজয়ের পরই পাকিস্তানের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়। এই জয়ের ফলে নিউজিল্যান্ড ও ভারত সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে। অন্যদিকে, পাকিস্তান নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হেরে গ্রুপ পর্বেই বিদায় নিশ্চিত করে।
পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যাত্রা শুরু হয় ব্যাকফুটে থেকে। প্রথম ম্যাচেই নিউজিল্যান্ড তাদের বিপক্ষে ৩২০ রান তোলে, যেখানে উইল ইয়ং ও টম লাথাম সেঞ্চুরি হাঁকান। এরপর ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও তারা ব্যাটিং বিপর্যয়ের শিকার হয়। ভাল শুরুর পরেও পাকিস্তান ২৪১ রানে গুটিয়ে যায় এবং বিরাট কোহলির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভারত ৪৩.২ ওভারে সহজেই জয় তুলে নেয়।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ওপেনার সাইম আইয়ুব ছিটকে যান, যার পরিবর্তে দলে আসা ফখর জামান প্রথম ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই চোট পান এবং পরে পুরো টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়েন। বোলিং আক্রমণেও ধার ছিল না—শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহ ছিলেন অকার্যকর, অন্যদিকে আবরার আহমেদকে সহায়তা করার মতো কোনো মানসম্পন্ন স্পিনার পাকিস্তান দলে রাখেনি।
এই লজ্জাজনক বিদায়ের সঙ্গে পাকিস্তান একাধিক অপ্রত্যাশিত রেকর্ডও গড়ে ফেলেছে। ২০০৯ সালের পর এই প্রথমবার কোনো স্বাগতিক দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেল।
এছাড়া, ২০১৩ সালের পর প্রথমবার কোনো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দল গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। সর্বশেষ এই ঘটনা ঘটেছিল অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে, তারা ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি।
পাকিস্তান এখন ২৭ ফেব্রুয়ারি তাদের শেষ গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে। তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, বৃষ্টি ম্যাচে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। যদি ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়, তাহলে পাকিস্তান টুর্নামেন্ট শেষ করবে কোনো জয় ছাড়াই, যা তাদের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম হতাশাজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে।
মন্তব্য করুন