বোলিং নিষেধাজ্ঞার গণ্ডি পেরিয়ে আবারও মাঠে ফেরার চেষ্টায় আছেন সাকিব আল হাসান। আগের দুই দফা পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর এবার তৃতীয়বারের মতো তার বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। আগামী রমজান মাসে ইংল্যান্ডে এ পরীক্ষা দেওয়ার কথা রয়েছে তার।
ইংল্যান্ডের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে গিয়েই প্রথমবার প্রশ্নবিদ্ধ হয় সাকিবের বোলিং অ্যাকশন। এরপর বার্মিংহাম ও চেন্নাইয়ে পরীক্ষা দিয়েও বৈধতা পাননি তিনি। দ্বিতীয়বার নিরপেক্ষ ল্যাবের পরীক্ষায়ও ব্যর্থ হওয়ায় সব ধরনের ক্রিকেটে তার বোলিং নিষিদ্ধ রয়েছে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) এবারের আসরের জন্য লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ দলে ভিড়িয়েছে সাকিবকে। ক্লাবটির কর্ণধার লুৎফর রহমান বাদল জানান, সাকিব ইংল্যান্ডের একজন কোচের সঙ্গে কাজ করছেন এবং কোচের অনুমতি পেলে আবারও পরীক্ষা দেবেন। তিনি বলেন, ‘সাকিবের পরীক্ষা ইংল্যান্ডে হবে, রোজার মধ্যেই। পাশ করতে পারলে সে বাংলাদেশে বোলিং করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।’
সাকিবকে দলে পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বাদল, ‘আমরা নিশ্চিত হয়েই সাকিবকে দলে নিয়েছি। আপনারা জানেন, আমাদের দলের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ সে। সে ক্রিকেটার হিসেবে ফিরছে, রাজনীতিবিদ হিসেবে নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাকিব দেশের ক্রিকেটের সম্পদ। আমরা চাই না সে হারিয়ে যাক। তার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক, এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করব ক্রিকেটকে আরও বড় ব্র্যান্ডে পরিণত করতে।’
সাকিব যদি এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার বোলিং ফের বৈধ হবে। তবে আগের পরীক্ষাগুলোতে ব্যর্থতার কারণে এবার সফল হতে পারবেন কি না, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
বার্মিংহামের পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তাকে নিজেদের প্রতিযোগিতায় নিষিদ্ধ করে। এরপর চেন্নাইয়ের নিরপেক্ষ ল্যাবেও তার বোলিং অ্যাকশনের ত্রুটি ধরা পড়লে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞার শিকার হন এই অলরাউন্ডার।
এবারের পরীক্ষা তাই সাকিবের ক্যারিয়ারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সফল হলে তিনি আবারও বোলিং করতে পারবেন, ব্যর্থ হলে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হবে নতুন অনিশ্চয়তা।
মন্তব্য করুন