আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে ভারত ও বাংলাদেশ মাঠে নামবে আগামীকাল। ভারত তাদের গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ খেলবে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে, যেখানে পিচের আচরণ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা।
দুবাই স্টেডিয়ামের প্রধান কিউরেটর ম্যাথিউ স্যান্ডেরি জানিয়েছেন, পিচে থাকবে ধারাবাহিক বাউন্স, ব্যাটাররা সহজেই শট খেলতে পারবেন, তবে বোলারদের জন্যও থাকবে সুযোগ। বিশেষ করে, ২০ ফেব্রুয়ারির উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ ও ভারতের লড়াইয় এই পিচ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, সেটাই দেখার বিষয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্যান্ডেরি জানান, কোনো দলই বিশেষ ধরনের পিচ চায়নি, অর্থাৎ দুবাইয়ের স্বাভাবিক উইকেটেই হবে খেলা।
‘আমাদের লক্ষ্য সেরা মানের উইকেট তৈরি করা, যেখানে ধারাবাহিক বাউন্স থাকবে। ব্যাটাররা যাতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শট খেলতে পারে, সেদিকে নজর থাকবে। তবে, বোলারদেরও লেন্থ ঠিক রেখে বল করা লাগবে,’ বলেন স্যান্ডেরি।
ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে গঠিত গ্রুপ ‘এ’ অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। তার মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচই টুর্নামেন্টের সূচনার মূল আকর্ষণ। দুবাইয়ের পিচের অতীত রেকর্ড বলছে, এখানে উচ্চ-স্কোরের ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তবে রাতের দিকে কন্ডিশন বদলে গেলে ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জে পড়তে হতে পারে।
রাতের দিকে শিশিরের প্রভাব ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, যা অধিনায়কদের টস নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করবে।
‘শিশির ম্যাচের শেষভাগে ভূমিকা রাখতেই পারে। দুবাই স্টেডিয়ামের ছাদ কাঠামো এমনভাবে তৈরি, যেখানে সূর্যালোক বিভিন্ন সময়ে পিচে পড়ে। ফলে উইকেটের আচরণ ম্যাচের বিভিন্ন পর্যায়ে ভিন্ন হতে পারে,’ বলেন স্যান্ডেরি।
ভারত ২০২২ এশিয়া কাপে দুবাইতে পাকিস্তানের বিপক্ষে একবার জিতেছিল, আবার সুপার ফোরে হেরেও গিয়েছিল। তবে এবার ৫০ ওভারের ফরম্যাট হওয়ায় কৌশলগত দিক থেকে ম্যাচ হবে ভিন্ন রকম। বাংলাদেশের স্পিন-নির্ভর আক্রমণ এই উইকেটে কতটা কার্যকর হবে, আর ভারতের ব্যাটাররা কিভাবে সেটাকে সামলাবে, সেটাই দেখার বিষয়।
রোহিত শর্মা ও নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে ভারত ও বাংলাদেশ মাঠে নামবে নিজেদের সামর্থ্যের সেরাটা দিতে। দুবাইয়ের উইকেট কি ব্যাটারদের স্বর্গ হয়ে উঠবে, নাকি বোলারদের সুযোগ দেবে? ২০ ফেব্রুয়ারি সেই উত্তরের অপেক্ষায় ক্রিকেট দুনিয়া!
মন্তব্য করুন