দীর্ঘ আট বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফিরলেন বিরাট কোহলি। ২০১৭ সালের সেই বেদনার রাত এখনও তার মনে গেঁথে আছে—ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে হাতছাড়া হয়েছিল শিরোপা। এবার আর ভুল করতে চান না ভারতের তারকা ব্যাটার। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মিশন শুরু করছে ভারত, আর কোহলি জানেন, এই ম্যাচই তাদের আসরে টিকে থাকার বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
‘আমি সবসময় এই টুর্নামেন্টটি উপভোগ করেছি, কারণ এখানে খেলতে হলে আপনাকে শীর্ষ আট দলের মধ্যে থাকতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা সবসময়ই কঠিন হয়। আর এবারও চাপে থাকবো, কারণ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফরম্যাট অনেকটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতোই। এখানে ৩-৪টা ম্যাচেই সবকিছু নির্ধারিত হয়ে যায়, তাই শুরুটা ভালো করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,’ কোহলি স্টার স্পোর্টসকে বলেন।
আইসিসির যেকোন আসরে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র জয়টি ২০০৭ বিশ্বকাপে, যেখানে তরুণ তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান দুর্দান্ত পারফর্ম করে ভারতকে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় করে দিয়েছিল। সেই স্মৃতি এখনও বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়। যদিও এরপর আইসিসির মঞ্চে ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ হয়ে থেকেছে। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে ৯ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত।
কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে তারা যেকোনো দলকে হারানোর সামর্থ্য রাখে। তারুণ্যনির্ভর পেস আক্রমণ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ এবার ভারতকে আরেকবার হতাশ করতে পারে কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
বাংলাদেশ দলের প্রধান শক্তি এবার তাদের পেস আক্রমণ। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম সাকিব ও উদীয়মান নাহিদ রানার গতি ও সুইং ভারতের ব্যাটারদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে পারে। শান্তর মতে, ‘আমাদের পেস বোলিং ইউনিট গত কয়েক বছরে অনেক উন্নতি করেছে। রাতে বল সুইং করলে, ভালো লেন্থে বোলিং করতে পারলে আমরা ভারতকে চাপে ফেলতে পারবো।’
এদিকে ভারতের মিডল অর্ডারে ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, কোহলির ফর্ম তাদের বড় ভরসা। তবে বাংলাদেশের বোলারদের পরিকল্পনায় তিনি নিশ্চয়ই থাকবেন সবচেয়ে বেশি। কোহলি নিজেও জানেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপপর্বের প্রতিটি ম্যাচ ফাইনালের মতোই গুরুত্বপূর্ণ, তাই প্রথম ম্যাচ থেকেই সেরা পারফরম্যান্স দিতে হবে।
মন্তব্য করুন