চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগেছে বাংলাদেশ। কম রান করায় বোলারদের পক্ষে ম্যাচে ফিরতে পারা কঠিন হয়ে যায়, ফলে বড় হার নিয়েই টুর্নামেন্টে প্রবেশ করতে হচ্ছে টাইগারদের।
দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে একমাত্র আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ৩৮.৪ ওভারে মাত্র ২০২ রান সংগ্রহ করে। জবাবে পাকিস্তান ‘এ’ দল ৩৪.৫ ওভারেই ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে।
প্রস্তুতি ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। বিপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তানজিদ হাসান তামিম মাত্র ৬ রান করে বোল্ড হন। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও দলকে টানতে ব্যর্থ হন, মাত্র ১২ রান করে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।
সৌম্য সরকার অবশ্য শুরুতে ভালো ব্যাটিং করছিলেন। ৩৮ বলে ৩৫ রান করে রান আউটের শিকার হন তিনি। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেও ৫৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে থামেন। মিডল অর্ডারে তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম ও জাকের আলির ব্যর্থতায় চাপ আরও বেড়ে যায়।
শেষদিকে তানজিম সাকিব (৩০ রান), রিশাদ হোসেন (১৪ রান) ও নাসুম আহমেদের (১৫ রান) ছোট ইনিংসের সৌজন্যে বাংলাদেশ ২০০ রানের গণ্ডি পার করে। তবে সেটি প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো যথেষ্ট ছিল না।
ছোট লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে নেমে পাকিস্তান 'এ' দলের ব্যাটিং লাইনআপও প্রথম দিকে কিছুটা চাপে পড়ে। পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৪২ রানে দুই উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। একশ রানের আগেই তারা তিন উইকেট হারায়, যা টাইগারদের ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি করেছিল।
কিন্তু এরপর বোলাররা ছন্দ হারিয়ে ফেলেন। পাকিস্তানের ব্যাটাররা ধাপে ধাপে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যায় এবং মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই সহজ জয় নিশ্চিত করে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় মঞ্চে ভালো করতে হলে ব্যাটিং লাইনআপকে আরও দৃঢ় হতে হবে। বিশেষ করে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা ও মিডল অর্ডারের ধস কাটিয়ে উঠতে না পারলে বড় দলগুলোর বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কঠিন হয়ে পড়বে। বোলাররা যদিও শুরুতে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন, তবে সেটি ধরে রাখার সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
প্রস্তুতি ম্যাচে বড় ব্যবধানে হার নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশ শিবিরে দুশ্চিন্তার বার্তা দিচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, মূল টুর্নামেন্টে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা।
মন্তব্য করুন