আফগানিস্তানের তারকা অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী ওডিআই ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনতে পারেন। গত বছর নভেম্বরেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরই একদিনের ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন। তবে এখন মনে হচ্ছে, ৪০ বছর বয়সী এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার আরও কিছুদিন খেলতে পারেন।
নবীর স্বপ্ন শুধু নিজের ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করা নয়, তিনি জাতীয় দলে খেলতে চান নিজের ছেলে হাসান আইসাখিলের সঙ্গে!
নবীর ছেলে হাসান আইসাখিল একজন ব্যাটার, যিনি ২০২৪ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের হয়ে খেলেছেন। ছেলের সঙ্গে একই দলে খেলার স্বপ্ন দেখছেন নবী, যা ক্রিকেট বিশ্বে এক অনন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে।
‘এটা আমার স্বপ্ন। ইনশাআল্লাহ, একদিন এটা সম্ভব হবে। ও অনেক পরিশ্রম করছে, আমি ওকে সবসময় অনুপ্রেরণা দিচ্ছি,’ নবী আইসিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন। ‘আমি চাই ও নিজের লক্ষ্যের জন্য কঠোর পরিশ্রম করুক। ৫০-৬০ রান যথেষ্ট নয়, শতক হাঁকানোর মানসিকতা থাকতে হবে। আমি ওকে সবসময় আত্মবিশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করি।’
আগে ওডিআই ছাড়ার কথা বললেও এখন নবী বলছেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। ‘এটা হয়তো আমার শেষ ওডিআই সিরিজ নাও হতে পারে। আমি কম ম্যাচ খেলব, তরুণদের সুযোগ দেব, কিন্তু এখনই পুরোপুরি সরে যাচ্ছি না,’ নবী বলেন। ‘সিনিয়রদের সঙ্গেও আলোচনা করেছি, বড় ম্যাচগুলোতে হয়তো আমাকে দেখা যাবে, হয়তো নয়—সবকিছু নির্ভর করছে আমার ফিটনেসের ওপর।’
আফগানিস্তান প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে যাচ্ছে। শক্তিশালী গ্রুপ ‘বি’-তে তারা মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার।
‘আমি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভালোভাবেই প্রস্তুত। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি, চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। জাতীয় দলের সঙ্গে আবুধাবিতে তিনটি সেশন করেছি, ফিটনেসও দারুণ অবস্থায় আছে,’ নবী জানান।
বিপিএলের পারফরম্যান্স নিয়েও তিনি আত্মবিশ্বাসী, ‘বিপিএল ফাইনালে কঠিন পরিস্থিতি থেকে জিতেছি। পুরো টুর্নামেন্টেই ভালো খেলেছি, ব্যাটিং-বোলিং দুই দিক থেকেই অবদান রেখেছি।’
আফগানিস্তান দলে একটি পরিবর্তন এসেছে, যেখানে ইনজুরির কারণে এ এম গজনফারের পরিবর্তে দলে এসেছেন বাঁহাতি স্পিনার নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে। নবী বলছেন, ‘ও খুব ভালো স্পিনার, দারুণ ফিল্ডারও। দক্ষিণ আফ্রিকা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শারজাহতে ওর বোলিং ছিল অসাধারণ।’
আফগানিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি:
২১ ফেব্রুয়ারি - দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম আফগানিস্তান (করাচি)
২৬ ফেব্রুয়ারি - ইংল্যান্ড বনাম আফগানিস্তান (লাহোর)
২৮ ফেব্রুয়ারি - অস্ট্রেলিয়া বনাম আফগানিস্তান (লাহোর)
মন্তব্য করুন