চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে সামনে রেখে দেশে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ দল। নতুন পরিবেশ, নতুন পরিকল্পনা—সবই দলকে শানিত করার লক্ষ্যেই। তবে সব আলোচনার কেন্দ্রে একটাই প্রশ্ন—বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান যদি বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা না থাকতো, তাহলে কি তিনি দলে থাকতেন?
বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্সকে সরাসরি এই প্রশ্ন করা হলে, তিনি রহস্য রেখে বলেন, ‘এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব না।’
তার সংক্ষিপ্ত জবাবেই তৈরি হয়েছে নতুন জল্পনা। তবে বাস্তবতা হলো, সাকিবের অলরাউন্ড দক্ষতা ছাড়া তিনি আদৌ দলের পরিকল্পনায় থাকতেন কি না, সেটি স্পষ্ট নয়। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে তার পারফরম্যান্স ও ফিটনেস নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এছাড়াও দেশে সাকিবের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও ঝুলছে।
এছাড়াও বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সিমন্স বলেন, ‘আমার দেখা মতে, কেউই বিপিএলের কারণে ক্লান্ত নয়। তবে ওয়ানডের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। ব্যাটসম্যানদের দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাট করতে হবে, বোলারদের ঠিক জায়গায় বল ফেলতে হবে। ৫০ ওভারের ক্রিকেটের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলাদেশের সামর্থ্য নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সিমন্স বলেন, ‘যদি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিশ্বাস না থাকত, তাহলে আমি এখানে থাকতাম না। টুর্নামেন্ট যাই হোক, আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে সেরাটা দেওয়ার জন্য।’
বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের প্রশংসা করেছেন সিমন্স। তিনি বলেন, ‘দলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তিনি দারুণ কাজ করছেন। ক্রিকেটারদের কোথায় পরিবর্তন প্রয়োজন, সেটি বুঝতে পারাটাই মূল বিষয়। তিনি যেখানে কোচিং করেন না কেন, জাতীয় দল, টাইগার্স কিংবা অনূর্ধ্ব-১৯—সব জায়গায়ই তার অবদান অসাধারণ।’
তবে সবকিছুর পরও সবচেয়ে বড় প্রশ্ন থেকেই গেল—সাকিব যদি বোলিং করতে পারতেন, তাহলে কি তিনি দলে থাকতেন? ফিল সিমন্সের জবাবের রহস্য এখনো অধরা!
মন্তব্য করুন