বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ২০২৫-এ ম্যাচ ফিক্সিং ও দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে বিতর্কের মধ্যেই স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বোর্ডের অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট (আকু)-কে আরও শক্তিশালী করতে এই কমিটি বিসিবির দুর্নীতি দমন কার্যক্রমে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
সম্প্রতি বিপিএলের কিছু ম্যাচে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে, যেখানে কিছু ক্রিকেটার ও ফ্রাঞ্চাইজির সম্পৃক্ততার কথা উঠে এসেছে। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, অস্বাভাবিক পারফরম্যান্স ও সন্দেহজনক ম্যাচ পরিস্থিতির বিষয়ে তদন্ত করছে বিসিবির আকু। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করা এসব অভিযোগের বিষয়ে বিসিবি জিরো টলারেন্স নীতিতে অবিচল থাকার বার্তা দিয়েছে।
এদিকে, দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ও বিদেশযাত্রার নিষেধাজ্ঞার গুঞ্জন নিয়েও পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে বিসিবি। এক বিবৃতিতে বোর্ড জানায়, বিজয়ের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ গৃহীত হয়নি এবং তার ভ্রমণের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
তবে, বিপিএলকে ঘিরে চলমান দুর্নীতির অভিযোগ ও সন্দেহজনক ম্যাচগুলোর ব্যাপারে বিসিবি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে। বিবৃতিতে বিসিবি জানিয়েছে, ম্যাচ ফিক্সিংসহ যেকোনো ধরনের দুর্নীতির বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে তারা। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে স্বাধীন তদন্ত কমিটি কাজ করবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিসিবির এই সিদ্ধান্ত দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের স্বচ্ছতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, তদন্তের পরিপূর্ণতা ও কার্যকারিতা কতটা নিশ্চিত করা যাবে? বিপিএলের যে কোনো দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তৎক্ষণাৎ কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে সংশ্লিষ্টদের।
মন্তব্য করুন