মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের এই একটা ফেসবুক পোষ্ট নাড়িয়ে দিয়েছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। দাগ কেটে গেছে দেশের কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে। ব্যাটিং অলরাউন্ডারের স্বপ্ন নিয়ে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে পা রাখা সাইফউদ্দিন পরিচিতি পেয়েছে বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে। তাইতো সাইফউদ্দিনের লড়াকু ইনিংসগুলোকে অনেকেই অঘটন বলে ব্যাখ্যা করেন। সেই আক্ষেপ থেকেই হয়তো সাইফউদ্দিনের এই ফেসবুক পোস্ট।
সাইফউদ্দিনের কঠিন পরিশ্রমের কথা তো সবারই জানা। কঠিন সব অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে বিপিএলের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছেন টাইগার এ অলরাউন্ডার। জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও রংপুর রাইডার্স তাকে সরাসরি ভিরিয়েছে নিজেদের দলে। তবে সেখানেও ব্যাটিংয়ের খুব একটা সুযোগ পান নি তিনি। রংপুরের শেষ দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েই দেখিয়েছেন তার ঝলক।
রাজশাহীর বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচে জিততে না পারায় সাইফউদ্দিনের ব্যাটিং কেবল আক্ষেপটাই বাড়িয়েছে। দুই ম্যাচেই ব্যাট করেছেন প্রায় ২০০ স্ট্রাইক রেটে। তবে দলকে পারেন নি জেতাতে। আর সে কারণে ভক্তদের মতোই সাইফউদ্দিনও খানিকটা হতাশ। সেই হতাশা থেকেই হয়তো ফেসবুকে দিয়েছেন পোস্ট, হয়তো আক্ষেপ আছে উপরের দিকে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলে দলকে দিতে পারতেন একটা জয় উপহার।
শুধু বিপিএলের এই দুই ম্যাচেই নয়, জাতীয় দলেও বোলিং কোটায় সুযোগ পাওয়া এই অলরাউন্ডার যখনই ব্যাট হাতে নেমেছেন তখনই দর্শকদের আক্ষেপটাই বাড়িয়েছেন। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচের কথা তো এখনো সবার মুখে মুখে। সাইফউদ্দিন যে পাক্কা ব্যাটিং অলরাউন্ডার হওয়ার সামর্থ্য রাখেন তা তিনি বহুবার প্রমান করেছেন।
সাইফউদ্দিন প্রমান করে গেলেও দেশের ক্রিকেট কখনেই যেন তা বুঝতে চেষ্টা করেনি। অবশ্য দেশের ক্রিকেট কাঠামোটাই যে এমনভাবে সাজানো হয়েছে। মাহমুদুল্লাহর মতো টপ অর্ডারের একজন ব্যাটার যে ক্যারিয়ারটাই শেষ করেছেন লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করে। অথচ লোয়াড় অর্ডারে ঝড় তোলার মতো সামর্থ্য তার আছে কি না, তা নিয়ে বারবার উঠেছে প্রশ্ন।
দেশের ক্রিকেটে কেবল সাইফউদ্দিনই নয়, আরও অনেক ক্রিকেটারই পড়েছেন এমন নিয়তির বেড়াকলে। নিয়তি মেনে নিয়ে তাই বোর্ডের চাহিদামতোই খেলতে হবে ক্রিকেটারদের। এছাড়া আর কি বা করার আছে?
মন্তব্য করুন