বিপিএল মাঠে গড়ানো মানেই যেন নাটকের নতুন অধ্যায়। তবে এবারের আসরে দুর্বার রাজশাহী সব রেকর্ড ভেঙে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। শুরু থেকেই খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক না দেওয়ার অভিযোগে সমালোচনার মুখে থাকা ফ্র্যাঞ্চাইজিটি আরও একধাপ এগিয়ে এবার খেলোয়াড়দের চেক বাউন্স করিয়েছে।
বিদেশি খেলোয়াড়রা পারিশ্রমিক না পাওয়ায় ম্যাচ বয়কটের মতো পদক্ষেপ নিয়েছেন। দেশি খেলোয়াড়দেরও পরিস্থিতি ভালো নয়। সম্প্রতি তাদের পারিশ্রমিকের চেক দেওয়া হলেও তা জমা দিতে গিয়ে দেখা গেছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা নেই। ফলে তারা শূন্য হাতে ফিরেছেন।
ফ্র্যাঞ্চাইজির এই ব্যর্থতায় বিসিবিও নিজেদের দায়িত্ব এড়াতে পারছে না। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রাজশাহীর পারিশ্রমিক পরিকল্পনা সম্পর্কে আমরা আগে থেকেই কিছুটা ধারণা পেয়েছিলাম। তবে এমন চরম পরিস্থিতি হবে, তা বুঝতে পারিনি। বোর্ডের নজরদারির ঘাটতি ছিল, এটি আমরা স্বীকার করছি।’
এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ভবিষ্যতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে বিসিবি। নাজমুল আবেদীন বলেন, ‘পরবর্তী বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মালিকানা ও পরিকল্পনা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত যাচাই-বাছাই করা হবে। শুধু পেশাদার এবং দায়িত্বশীলদেরই মালিকানা দেওয়া হবে। প্রয়োজনে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতেও পিছপা হব না।’
রাজশাহীর এমন অব্যবস্থাপনার কারণে বিদেশি খেলোয়াড়রা দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। মাত্র দুইজন বিদেশি ক্রিকেটার, যারা তেমন পরিচিত নন, তারা খেলেছেন দলে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির এমন ঘটনা বিপিএল ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বিসিবি যদিও ভবিষ্যতের জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তবে এবারের এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি কেবলই প্রশ্ন তোলে—কেন এত বছর ধরে বিপিএলের অব্যবস্থাপনা দূর করা সম্ভব হয়নি? ভক্তদের আশা, এসব নাটক যেন আর ভবিষ্যতে টুর্নামেন্টের গায়ে দাগ না লাগায়।
মন্তব্য করুন