বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নারী বিপিএল আয়োজনের পরিকল্পনায় আশার আলো জ্বললেও, এখন সেটিকে ঘিরে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তার মেঘ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সম্প্রতি এক সভায় টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হয়েছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে দেশের নারীদের ঘরোয়া ক্রিকেটে বিপ্লব আনার আশাবাদ তৈরি হলেও, পুরুষ বিপিএলের বিতর্কিত পরিস্থিতি নতুন করে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পুরুষ বিপিএল আয়োজন নিয়ে সাম্প্রতিক নানা বিতর্ক—বকেয়া পারিশ্রমিক, সন্দেহজনক পারফরম্যান্সসহ বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বিসিবিকে ভাবিয়ে তুলেছে। ফলে নারী বিপিএল আয়োজনের ক্ষেত্রে তারা কোনো ধরনের তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না। বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু বিষয়টি নিয়ে জানান, ‘আমরা ধীরে-সুস্থে পরিকল্পনা করছি, তাড়াহুড়ো করা হবে না।’
তবে ইতোমধ্যে নারী বিপিএল আয়োজনের জন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাগুলোর কাছে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (EOI) আহ্বান করা হয়েছে, যা আশার সঞ্চার করেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে।
প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছিল, পুরুষ বিপিএলের পরপরই তিনটি দলের অংশগ্রহণে নারী বিপিএল অনুষ্ঠিত হবে। ফরচুন বরিশাল, রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ক্যাপিটালস এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিসিবির পরিকল্পনা অনুযায়ী, নারী ক্রিকেটারদের জন্য সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ লাখ টাকা।
২০২৩ সালেও নারী বিপিএল আয়োজনের ঘোষণা এসেছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। এবারও পরিকল্পনাটি মাঠে গড়াবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। বিসিবি জানিয়েছে, টুর্নামেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে সবদিক বিবেচনা করেই তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে বিপিএল এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে, তবে বিসিবির ধীরগতির নীতির কারণে তা আরও পিছিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য করুন