শেষ ওভারে রোমাঞ্চকর মুহূর্ত। সিলেট স্ট্রাইকার্সের দরকার ২৩ রান। মোস্তাফিজুর রহমানের প্রথম দুই বলে চার ও ছক্কায় সমীকরণ প্রায় মুঠোয় নিয়ে আসেন সামিউল্লাহ শিনওয়ারি। কিন্তু ঢাকার ভক্তদের হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেওয়া এই দৃশ্যের পর মোস্তাফিজ দেখান তার দক্ষতা। চতুর্থ ও পঞ্চম বলে শিনওয়ারি এবং আরিফুল হককে ফেরান এই কাটার মাস্টার। ঢাকার ৬ রানের জয় নিশ্চিত হয় সেখানেই।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামে ঢাকা। ইনিংসের শুরুতে তানজিদ হাসান তামিম দারুণ শুরু এনে দিলেও থিতু হয়ে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। ১৬ বলে ২২ রান করে বিদায় নেন তিনি।
এরপর টপ অর্ডারে জেপি কোটজে (৯) ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত দ্রুত বিদায় নিলে ঢাকার স্কোর দাঁড়ায় ৬২ রানে ৩ উইকেটে।
সেই চাপ সামলে লিটন দাস ও থিসারা পেরেরার ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ঢাকা। লিটন তার অভিজ্ঞতা দিয়ে ৪৮ বলে ৭০ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। আর পেরেরা ঝড়ো মেজাজে ১৭ বলে ৩৭ রান করেন। এই জুটির ৮৫ রানে ভর করেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৬ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা।
১৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেটের শুরুটা হতাশাজনক। ওপেনার জর্জ মান্সি ৩ রান করে ফেরেন। তিন নম্বরে নামা জাকির হাসানও মাত্র ৮ রানে আউট হন।
মাঝখানে রনি তালুকদার ও অ্যারন জোন্সের ৭২ রানের জুটি সিলেটকে কিছুটা পথ দেখালেও জয় পাওয়া সম্ভব হয়নি। রনি ৪৪ বলে ৬৮ রান করে আউট হন। এরপর জাকের আলি (১৩ বলে ২৮) ও আরিফুল হক (১৩ বলে ২৯) শেষ মুহূর্তে লড়াই জমালেও মোস্তাফিজের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে জয় তুলে নেয় ঢাকা।
এই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে উঠে এসেছে ঢাকা। অন্যদিকে, সিলেট ৪ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে অবস্থান করছে।
ঢাকার এই জয়ে লিটন ও পেরেরার ব্যাটিং এবং মোস্তাফিজের শেষ ওভারের বোলিং প্রশংসিত হলেও ঢাকার মাঝের ব্যাটিং লাইনআপের ধীরগতির রান তুলা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। তবে এই জয়ে দলের আত্মবিশ্বাস যে অনেকটা বেড়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মন্তব্য করুন