চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম দিনেই বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ফরচুন বরিশাল বনাম ঢাকা ক্যাপিটালস ম্যাচে মাঠে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার সাব্বির রহমান এবং তামিম ইকবালের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। তামিমের আগ্রাসী আচরণ নিয়ে সমালোচনা হলেও সাব্বির বিষয়টি হালকাভাবেই নিয়েছেন।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে সাব্বির বলেন, ‘মাঠের ঘটনাগুলো সেখানেই শেষ হয়ে যায়। তামিম ভাই আমার শ্রদ্ধেয় বড় ভাই এবং দেশের একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। হিট অব দ্য মোমেন্টে ঘটনাটি ঘটেছে, কিন্তু আমি বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে নিইনি। আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো এবং ভবিষ্যতেও এটি অটুট থাকবে।’
ঘটনার সূত্রপাত হয় ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের নবম ওভারে। ১৪০ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করছিল ফরচুন বরিশাল, তখন ক্রিজে ছিলেন তামিম ইকবাল এবং ডেভিড মালান। একটি বল ঠেকানোর পর সাব্বির সেটি উইকেটরক্ষক বা বোলারের কাছে না পাঠিয়ে সামনের দিকে ফেলে দেন। ক্রিকেটের পরিভাষায় এটি “ফেইক ফিল্ডিং” বলে পরিচিত, যা ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করার কৌশল হতে পারে।
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। উত্তেজিত হয়ে সাব্বিরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বেশি লাগতে যেও না সাব্বির, বেশি লাগতে যেও না।’এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে শুরু করে।
ঘটনার পর সাব্বির তামিমের দিকে এগিয়ে গেলে ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা দ্রুত হস্তক্ষেপ করেন। তিনি সাব্বিরকে থামিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। ফিল্ড আম্পায়াররাও এ সময় ভূমিকা রাখেন।
সাক্ষাৎকারে সাব্বির আরও বলেন, ‘তামিম ভাই দেশের জন্য যা করেছেন, তা অসাধারণ। এমন ক্রিকেটার আর আসবে না। এই ঘটনাটি হিট অব দ্য মোমেন্ট ছিল এবং এতে আমি কোনো ক্ষোভ পুষে রাখছি না।’
তামিমের এমন আচরণ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই বিষয়টিকে পেশাদার আচরণের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছেন। তবে সাব্বিরের ইতিবাচক মনোভাব বিষয়টিকে কিছুটা স্বাভাবিক করেছে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
মন্তব্য করুন