টানা ছয় হারের দুঃস্বপ্ন পেরিয়ে রাজকীয়ভাবে বিপিএলে ঘুরে দাঁড়াল ঢাকা ক্যাপিটালস। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিমের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে রেকর্ড বইয়ের পাতা ওলটপালট হয়ে গেল। তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্সে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় রানসহ আরও বেশ কিছু রেকর্ড গড়ে ১৪৯ রানের বিশাল জয় পেয়েছে ঢাকার দলটি।
ঢাকা ক্যাপিটালস প্রথম ইনিংসে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে তোলে ২৫৪ রান। এটি বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এর আগে ২০১৯ সালে রংপুর রাইডার্স চট্টগ্রামের বিপক্ষে ২৩৯ রান তুলেছিল। লিটন দাস ৪৪ বলে ৮ চার ও ৭ ছক্কার সাহায্যে করেন ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। এটি বিপিএলে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরি। লিটন এই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন ক্রিস গেইলের সঙ্গে, যিনি ২০১২ সালে ৪৪ বলেই সেঞ্চুরি করেছিলেন।
অন্যদিকে, তানজিদ হাসান তামিম ইনিংসের শেষ ওভারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ১০৮ রানে অপরাজিত তামিম বিপিএলে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে দুটি সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন, তামিম ইকবালের সঙ্গে। লিটন ও তানজিদের ২৪১ রানের জুটি বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও ক্রিস গেইলের, যারা ২০১৭ সালের ফাইনালে করেছিলেন ২০১ রান।
২৫৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্বার রাজশাহী পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান পাকিস্তানি ব্যাটার মোহাম্মদ হারিস। এরপর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ও শূন্য রানে বিদায় নেন। পাওয়ারপ্লেতে ৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৪ রান তোলে রাজশাহী।
শেষ দিকে রায়ান বার্ল কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তিনি ৩২ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকলেও তা কেবল হারের ব্যবধানই কমায়। রাজশাহী ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় এবং ১৪৯ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায় ঢাকা ক্যাপিটালস।
ঢাকার হয়ে বল হাতে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, আবু জায়েদ রাহি, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও ফারমানউল্লাহ নেন দুটি করে উইকেট। এক উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
বিপিএলের শুরুতে টানা ছয় হার নিয়ে সমালোচনার শীর্ষে থাকা ঢাকা ক্যাপিটালসের জন্য এটি ছিল স্বস্তির জয়। শাকিব খানের মালিকানাধীন দলটি সিলেটে ব্যাটে-বলে রাজত্ব করে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে।
মন্তব্য করুন