টার্গেটটা বড়ই ছিল। যেকোন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই ২০০ এর ওপরে টার্গেট তাড়া করা কঠিন তবে দলটা রংপুর বলেই ভরসা রাখছিল সমর্থকরা। সমর্থকদের ভরসা যে অমূলক ছিল না তা প্রমাণ করলেন রংপুর রাইডার্সের ব্যাটার অ্যালেক্স হেলস। হেলসের দুর্দান্ত শতকে জয় দিয়েই বিপিএলের সিলেট পর্ব শুরু করল রংপুর রাইডার্স।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন রনি তালুকদার, আর জাকির হাসানের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান। তবে এত বড় সংগ্রহও রংপুরের দাপট থামাতে পারেনি।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় রংপুর। বয়সভিত্তিক দলে আলো ছড়ানো আজিজুল হাকিম তামিম টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ‘ডাক’ মারেন। পাঁচ বল খেলেও কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। তবে এরপরই ম্যাচের চিত্র বদলে যায়।
দুই ওপেনারের দ্রুত বিদায়ের পর সাইফ হাসান ও অ্যালেক্স হেলসের দুর্দান্ত জুটিতে ম্যাচ একচেটিয়া দখলে নেয় রংপুর। দ্বিতীয় উইকেটে তারা ১৮৬ রানের জুটি গড়েন।
সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছেও সাইফ হাসান থামেন ৮০ রানে। তবে অ্যালেক্স হেলস ঠিকই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন। ৫৪ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা এই ইংলিশ ব্যাটার শেষ পর্যন্ত ৫৬ বলে ১১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ৭টি বিশাল ছক্কা। রংপুরও মাত্র ১৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
এর আগে সিলেটের ব্যাটিংও ছিল বেশ ইতিবাচক। রনি তালুকদার ও জজ মান্সির ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু পায় দল। ১২ বলে ১৮ রান করে মান্সি ফিরে গেলে তিন নম্বরে নেমে জাকির হাসানের সঙ্গে জুটি গড়েন রনি।
রনি ৩২ বলে ৫৪ রান করেন, আর জাকির ৩৮ বলে ৫০ রান করেন। তবে পল স্টার্লিং ব্যাটিং পজিশন বদলালেও সুবিধা করতে পারেননি। ১৬ বল খেলে মাত্র ১৬ রানেই থামেন এই আইরিশ ব্যাটার।
শেষদিকে সিলেটের রান বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখেন অ্যারন জোন্স ও জাকের আলি। জোন্স এক চার ও চারটি ছক্কায় ১৯ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন, আর জাকের মাত্র ৫ বলে ৩ ছক্কায় ২০ রান করেন। তার এই ঝড়ো ক্যামিওতেই সিলেট দুইশ পেরোয়।
সিলেটের দেওয়া বড় লক্ষ্যও রংপুরের জন্য সহজ হয়ে যায় হেলসের দুর্দান্ত ইনিংসে। চার ম্যাচ শেষে অপরাজিত রংপুর শীর্ষস্থান মজবুত করেছে, আর সিলেট দুই ম্যাচ খেলে এখনো জয়ের দেখা পায়নি।
মন্তব্য করুন