এবার বিপিএলে তুলনামূলক ভালো দলই বানিয়েছিল চিটাগাং কিংস। বড় বড় কিছু তারকাকে দলে ভেড়ালেও নানা কারণে তাদের মাঠে নামাতে পারেনি বন্দরনগরীর দলটি। একাদশ আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তাই অসহায় আত্মসমর্পণই করতে হয় মোহাম্মদ মিঠুনদের। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই স্বরূপে ফিরেছে দলটি। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে বড় জয়ে নিজেদের পয়েন্টের খাতা খুলেছে দলটি।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দিনের প্রথম ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীকে ১০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে চিটাগাং। আগে ব্যাট করে উসমান খানের শতকে ২১৯ রানের বড় স্কোর করে চিটাগাং। জবাবে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৪ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস।
২২০ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় রাজশাহী। ওপেনার সাব্বির হোসেন মাত্র ৫ বলে ৮ রান করে শরিফুল ইসলামের শিকার হন। পাওয়ারপ্লেতে দলের দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ হারিস, তবে ১৫ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে তাকেও বিদায় নিতে হয়।
ক্যাপ্টেন এনামুল হক বিজয়ও সুবিধা করতে পারেননি, মাত্র ৮ রান করে ফিরে যান। ব্যর্থ হন ইয়াসির রাব্বি ও রায়ান বার্লও। চিটাগং কিংসের বোলিং তোপে রাজশাহী পুরোপুরি ব্যাকফুটে চলে যায় এবং ১৭.১ ওভারে মাত্র ১১৪ রানেই অলআউট হয়ে যায়। দলের বিপর্যয়ে চিটাগংয়ের হয়ে তিনটি করে উইকেট তুলে নেন আরাফাত সানি ও আলিস ইসলাম।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে চিটাগং কিংসের ইনিংসের গল্পটা ছিল উসমান খানের ব্যাটিং ঝড়ের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে হারায় চিটাগং, তবে এরপর থেকেই শুরু হয় উসমানের শাসন।
ইংলিশ ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্কের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ বলে ১২০ রানের জুটি গড়েন তিনি। ক্লার্ক ২৫ বলে ৪০ রান করে ফিরে গেলেও, উসমান চালিয়ে যান ব্যাটিং দাপট। এরপর মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে আরও ৬৩ রানের জুটি গড়ে ফিফটির পর সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যান এই পাকিস্তানি ব্যাটার।
শেষ পর্যন্ত ৪৮ বলে বিপিএল ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক পূরণ করেন উসমান। ৬২ বলে ১৩ চার ও ৬ ছক্কার মারে ১২৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে তাসকিন আহমেদের বলে বিদায় নেন তিনি।
উসমানের ঝোড়ো ইনিংসের ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৯ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় চিটাগং কিংস। বিপিএল ইতিহাসে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এর আগে ২০২০ সালে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে খুলনা ২১৮ রান করেছিল, যা এতদিন মিরপুরের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল।
মন্তব্য করুন