বাংলাদেশ ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব নিয়ে আলোচনা যেন সবসময় লেগেই থাকে। বিশেষ করে গত এক দশকে ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটে আলাদা অধিনায়ক নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে বিষয়টি আরও জটিল হয়েছে। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল থেকে শুরু করে মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাস—এই সময়ের মধ্যে প্রায় সবাইকেই কোনো না কোনোভাবে দায়িত্ব নিতে হয়েছে।
সম্প্রতি নাজমুল হোসেন শান্ত চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) জানিয়েছেন, তিনি আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করতে চান না। তবে তিনি টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে নেতৃত্ব চালিয়ে যেতে আগ্রহী। বিসিবিও তার এই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছে।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেশ কয়েক জায়গায়। বিসিবি সভাপতির ভাষ্য মতে, শান্ত টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে চায় তবে ওয়ানডে ও টেস্টে সে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক সে। বিসিবিও সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে। যদিও নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক এখনো ঘোষণা করা হয়নি, তবে বিসিবির অভ্যন্তরীণ আলোচনা থেকে জানা যাচ্ছে, লিটন দাস এই দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজে তার নেতৃত্বে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়ে গেছে। তবে বিকল্প হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজের নামও আলোচনায় ছিল। কিন্তু টি-টোয়েন্টি দলে তার স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় থাকায় লিটন এগিয়ে রয়েছেন।
নাজমুলের নেতৃত্ব ছাড়ার পেছনে ব্যক্তিগত কারণ হিসেবে ব্যাটিংয়ে আরও মনোযোগ দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক আলোচনা থেকেও দূরে থাকতে চান তিনি। তবে মাঠে তার নেতৃত্ব সবসময় প্রশংসিত হয়েছে। এমনকি তার নেতৃত্বে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজেও দল ভালো করেছে।
আগামী মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ নতুন অধিনায়ক পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা হবে।
মন্তব্য করুন