বিপিএলের একাদশ আসরে দারুণ এক জয় দিয়ে শুরু করলো মেহেদী হাসান মিরাজের খুলনা টাইগার্স। বিপিএলের দ্বিতীয় দিনে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিটাগাং কিংসকে ৩৭ রানে হারিয়েছে খুলনা।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) আসরের তৃতীয় ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করে অজি ব্যাটার উইলিয়াম বসিটো ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০৩ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ করে খুলনা। জবাবে খুলনার বোলিং অ্যাটাকের সামনে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ে চিটাগাং। সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান করতে পারে মোহাম্মদ মিঠুনের দল। ফলে ৩৭ রানের হার দিয়েই আসর শুরু করতে হলো চট্টগ্রামের দলটিকে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৮ রান আসে শামীম হোসেনের ব্যাট থেকে।
খুলনার হয়ে ইনিংসের শুরুর দিকে ঝড় তুলেছেন দুই ব্যাটার উইলিয়াম বসিটো ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার বসিটো তুলে নেন নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। ৫০ বল খেলে তিনি ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে মাহিদুল অঙ্কন খেলেন ২২ বলে ১ চার ও ৬ ছক্কায় ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস।
চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে খালেদ আহমেদ এবং আলিস আল ইসলাম দুটি করে উইকেট শিকার করেন। তবে খুলনার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের সামনে তারা সুবিধা করতে পারেননি।
২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় চট্টগ্রামের শুরুটা নাটকীয় ছিল। খুলনার বোলার ওশেন থমাস প্রথম ওভারেই এক বল থেকে ১৫ রান দিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েন। কিন্তু সেই সুবিধা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় চট্টগ্রাম। প্রথম ওভারের পরপরই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ওপেনার নাইম ইসলাম (১২), পারভেজ হোসেন ইমন (১৩), এবং উসমান খান (১৮) ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।
৭৫ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর চট্টগ্রামের ইনিংস ভেঙে পড়ার পথে থাকলেও শামীম পাটোয়ারী লড়াই চালিয়ে যান। তার ঝড়ো ইনিংসে ৭টি চার এবং ৫টি ছক্কার মার ছিল। তবে যোগ্য সঙ্গীর অভাবে চট্টগ্রাম গুটিয়ে যায় ১৯ ওভারেই।
খুলনার বোলারদের মধ্যে আবু হায়দার রনি ছিলেন সবচেয়ে সফল। তিনি ৪ উইকেট তুলে নিয়ে চট্টগ্রামের ইনিংস ভেঙে দেন। পাশাপাশি, ওশান থমাসের প্রথম ওভারের নাটকীয়তা ম্যাচটিকে স্মরণীয় করে রাখে।
এই জয়ের ফলে খুলনা টাইগার্স তাদের পয়েন্ট টেবিলের অবস্থান আরও শক্তিশালী করল, আর চট্টগ্রাম কিংস টুর্নামেন্টে চাপে পড়ে গেল।
মন্তব্য করুন