বহুল প্রতীক্ষিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরের খেলা শুরু হয়েছে আজ (সোমবার)। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল ও নবাগত দুর্বার রাজশাহী। আসরের প্রথম ম্যাচে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয় পরলেও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বরিশাল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে জয় ছিনিয়ে নেয় ।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আসরের প্রথম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করে ইয়াসির আলী রাব্বির দুর্দান্ত ৯৪ রানের কল্যাণে ১৯৭ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে রাজশাহী। জবাবে এক পর্যায়ে ৬১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা বরিশাল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। দুই ব্যাটারের ৩৫ বলে ৮৮ রানের পার্টনারশিপই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে শেষ পাঁচ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ৫৮ রান। ১৬তম ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দুই চার ও এক ছক্কায় ১৯ রান তুলে চাপ কিছুটা কমান। পরের ওভারে ফাহিম আশরাফ ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তিনটি ছক্কা ও একটি চারে ২৫ রান নেন। দুই মিডল অর্ডার ব্যাটারের এমন ব্যাটিংয়ে বরিশাল ১১ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে।
লক্ষ্য তাড়ায় বরিশালের শুরুটা ছিল হতাশাজনক। ইনিংসের প্রথম বলেই নাজমুল হোসেন শান্ত এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন জিশান আলমের বলে। অধিনায়ক তামিম ইকবালও দ্রুত ফিরে যান, ৫ বল খেলে মাত্র ৭ রান করেন।
১২ রানে দুই উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন কাইল মেয়ার্স। তবে, গত আসরে দুর্দান্ত পারফর্ম করা এই ক্যারিবিয়ান এবার সুবিধা করতে পারেননি। ৫ বলে ৬ রান করে তাসকিন আহমেদের বলে রায়ান বার্লের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।
৩০ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার হারিয়ে চাপে পড়ে বরিশাল। মুশফিকুর রহিম এবং তাওহীদ হৃদয় শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন।
৬১ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলের হাল ধরেন। ষষ্ঠ উইকেটে তার সঙ্গী ছিলেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। দুজনের ৫১ রানের জুটি বরিশালকে ম্যাচে ফেরায়। আফ্রিদি ১৭ বলে ২৭ রান করে আউট হন।
এরপর মাহমুদউল্লাহ এবং ফাহিম আশরাফ আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। মাহমুদউল্লাহ ২৬ বলে অপরাজিত ৫৬ রান করেন, আর ফাহিম মাত্র ২১ বলে ৫৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
মন্তব্য করুন