রাত পোহালেই শুরু হবে বাংলাদেশের প্রিমিয়ার ফ্রাঞ্চাইজি লিগ বিপিএলের একাদশ আসর। এবারের বিপিএলকে ভিন্নভাবে সাজানোর চেষ্টা দেখা গেছে বিসিবিতে। কিন্তু সেটা আদৌ মাঠের ক্রিকেটে কতটা প্রভাব ফেলবে—সে প্রশ্নও থেকে যাচ্ছে। কনসার্ট আয়োজন, মাঠে আগত দর্শকদের জন্য ফ্রি পানির ব্যবস্থা। আরও নানা কিছু করার চেষ্টা করে যাচ্ছে বোর্ড। তবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল মনে করেন, ক্রিকেটের পেছনে ব্যয়টা না হলে আদৌ কোনো ভিন্নতাই দেখা মিলবে না। ক্রিকেটীয় উন্নতিতে চোখ রাখতে চান তিনি।
সোমবারের (৩০ ডিসেম্বর) উদ্বোধনী ম্যাচের আগে তামিম সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি অন্যরকম কিছু দেখি না কনসার্ট ছাড়া। আমার কাছে মনে হয় অন্যরকম বিপিএল যদি আমাদের করতে হয়, আমাদের ক্রিকেটে বিনিয়োগ করতে হবে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের টুর্নামেন্টে ইনভেস্ট করতে হবে, কনসার্ট বা অন্য কিছুতে নয়।’
বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ নবাগত দুর্বার রাজশাহী। আগামীকাল (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশালের বিপক্ষে রাজশাহীর হয়ে টস করতে দেখা যাবে এনামুল হক বিজয়কে। প্রথমবার অংশ নেওয়া দুর্বার রাজশাহীর চোখ টুর্নামেন্টে ভালো শুরুর। ক্রিকেটারদের জন্য উপভোগ্য একটি টুর্নামেন্ট হোক—এমনই চাওয়া দলটির প্রধান কোচ ইজাজ আহমেদের। তবে প্রতিপক্ষ নিয়ে কোনো উত্তর দিতে হয়নি তাকে।
বরিশাল অধিনায়ক তামিমকেও তার পুরো সংবাদ সম্মেলনে প্রতিপক্ষ নিয়ে কোনো প্রশ্নই করা হলো না। টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল তারা। কাগজে-কলমে এবারও শক্তিতে অন্যদের চেয়ে ঢের এগিয়ে দলটি। শিরোপা ধরে রাখাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তামিম, ‘আমরা সবকিছু নিশ্চিত করতে চাই, যেন শিরোপা জেতার জায়গায় পৌঁছাতে পারি। আমি শুধু ট্রফি জিততে চাই।’
ট্রফি জয়ের জন্য এবারও বড় দাবিদার বলা যেতে পারে বরিশালকে। দলটির স্কোয়াডের দিকে তাকালেই মনে হবে একখণ্ড জাতীয় দল।
তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাইজুল ইসলাম, তাওহীদ হৃদয়, ইবাদত হোসেন, রিশাদ হোসেন—কে নেই! বিদেশিদের মধ্যেও আছেন মোহাম্মদ নবী, শাহিন শাহ আফ্রিদী, কাইল মায়ার্স, দাউদ মালান থেকে শুরু করে আরও বেশ কয়েকজন তারকা। তামিমও স্বীকার করে নিলেন দল হিসেবে তারা কতটা শক্তিশালী, ‘এক বা দুই বলতেই পারেন। আমরা যে দল সাজিয়েছি, আমার কাছে মনে হয়, আমরা যতটুকু পেরেছি ওই গ্যাপগুলো (ঘাটতির) পূরণ করেছি।’
তবে ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জও দেখছেন তিনি, ‘চ্যালেঞ্জটা হবে ৭-৮ ম্যাচের পর। তখন খেলোয়াড়রা (বিদেশি) আসা-যাওয়া থাকবে। সব দলের জন্যই চ্যালেঞ্জ হবে। ওই সময় যারা গ্যাপটা পূরণ করতে পারবে, তারাই এগিয়ে থাকবে।’
আপাতত দলগুলোর স্কোয়াডের দিকে তাকালে মনে হবে বরিশালের পরই শক্তিশালী রংপুর রাইডার্স। কিন্তু তামিম এ কথা মানতে চান না। উদাহরণ হিসেবে সর্বশেষ আসরকে সামনে আনলেন তিনি, ‘আমি এটাকে দুটা দলের টুর্নামেন্ট বলতে চাই না। আপনি যদি সর্বশেষ্ আসরও দেখেন, আমরা মনে হয় কাগজে-কলমে তৃতীয় ছিলাম (কুমিল্লা ও রংপুরের সঙ্গে তুলনায়)। কিন্তু আমরা শিরোপা জিতেছি। এ বছরও আমার কাছে মনে হয় কয়েকটা দল খুবই ভারসাম্যপূর্ণ। যখন খেলা শুরু হবে তখন আমরা আসলে বুঝতে পারব কার শক্তি কোথায় আছে। কিন্তু এ মুহূর্তে বসে এ হিসেব করাটা আসলে কঠিন। আমি নিশ্চিত প্রথম রাউন্ডের পর সবাই বুঝে যাবে কোন দল কেমন চ্যালেঞ্জিং।’
মন্তব্য করুন