ভোর থেকে বিপিএলের উদ্বোধনী দিনের টিকিট পেতে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের সামনে ভিড়। কিন্তু টিকিট বিক্রির কোনো তথ্য তখনোও প্রকাশ করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কোথায় পাওয়া যাবে কিংবা কোথায় থেকে নিতে হবে—ছিল না কোনো দুনির্দিষ্ট তথ্য।
বেলা বাড়তে বাড়তে ধৈর্য হারা হয়ে পড়েন দর্শক-সমর্থকরা। ক্ষুব্ধ হয়ে স্টেডিয়ামের মূল ফটকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এক পর্যায়ে স্টেডিয়াম গেটে ভেঙেও ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে সমর্থকরা। যদিও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে সফল হয়নি তারা। কিন্তু টিকিট নিয়ে এমন অব্যবস্থাপনা কেন! উত্তর নেই বিপিএল আয়োজক বিসিবির কাছেও। বোর্ডের বর্তমান পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব নাজমুল আবেদীন ফাহিম পুরো দায় নিজেদের কাঁধেই নিলেন। জানালেন, ‘দায়ভার তো আমাদেরই নিতে হবে।’
বিপিএলের প্রথম ম্যাচ শুরু হতে তখন আর ২৬ ঘণ্টার মতো বাকি। আনুষ্ঠানিকভাবে টিকিটের মূল্য ও প্রাপ্তির তথ্য প্রকাশ করে তখন বিসিবি। অনলাইন ও অফলাইন—দুইভাগেই রাখা হয়েছে ব্যবস্থা। অফলাইনে টিকিট পেতে যেতে হবে মধুমতী ব্যাংকের নির্ধারিত ৭টি শাখায়। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) থেকে মিলবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। কিন্তু এ তথ্য জানাতে এ দেরি কেন!
নাজমুল আবেদীন এবারও সমর্থকদের পাশে দাঁড়ালেন, ‘যারা খেলা দেখতে আগ্রহী বা খেলা দেখতে চান—তাদের কাছে আমাদের তথ্যটা আগেই জানানো উচিত ছিল।’ বিপিএলের আগের আসরগুলোতেও টিকিট পেতে এমন যন্ত্রণা পোহাতে হতো দর্শকদের। এবারও একই পরিস্থিতি! তাহলে পরিবর্তনটা এলো কোথায়? নাজমুল আবেদীন বললেন, ‘আগের মতো না হলে ভালো হতো। আমি জানি না আগে কি হতো। এখানে সবটাই বিসিবির ব্যাপার না। ব্যাংক বা অন্যান্য বিষয় আছে। আমার মনে হয় ওখানে কোনো সমস্যা হয়েছে।’
যদিও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উদ্বোধনী ম্যাচের টিকিট প্রিন্ট হতে লেগেছিল সময়। যেকারণেই ভোর থেকে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েও হতাশ হতে হয়েছিল সমর্থকদের।
মন্তব্য করুন