চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর নিয়ে চলমান জট অবশেষে কাটল। টুর্নামেন্টটি এবার হাইব্রিড মডেলে অনুষ্ঠিত হবে। দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই সংকটের অবসান হলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি), ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২০২৪-২৭ চক্রের সব ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।
আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই নিয়ম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ (পাকিস্তান), আইসিসি নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৫ (ভারত) এবং আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬ (ভারত এবং শ্রীলঙ্কা)-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।’ এর অর্থ, ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি ভারতের পরিবর্তে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে এখনও নিশ্চিত নয় কোন দেশ হবে — সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) নাকি শ্রীলঙ্কা। যদিও পিসিবি শ্রীলঙ্কাকে পছন্দ করছে, তবে লজিস্টিক সুবিধার কারণে সিদ্ধান্তটি ইউএই-এর দিকেও ঝুঁকতে পারে। আইসিসি জানিয়েছে, চূড়ান্ত সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।
যদি ইউএইকে ভেন্যু হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়, তবে দুবাইতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) এই বিষয়ে আইসিসি এবং পিসিবির চূড়ান্ত অনুমতির অপেক্ষায় আছে। আবুধাবি ও শারজাহতেও মাঠ রয়েছে, তবে ইসিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুবাইয়ের ভেন্যুর আকার বিবেচনায় বড় ম্যাচটি সেখানেই হবে। ইউএই-তে ১৫ ম্যাচের মধ্যে ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে পারে, যার মধ্যে থাকবে ভারতের তিনটি গ্রুপ ম্যাচ এবং দুটি নকআউট ম্যাচ।
এদিকে, আইসিসি নতুন একটি বিশ্ব আসরের আয়োজক হিসেবে পাকিস্তানকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আইসিসি জানিয়েছে, ‘পাকিস্তানকে ২০২৮ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এই টুর্নামেন্টেও নিরপেক্ষ ভেন্যুর নিয়ম প্রযোজ্য হবে। এছাড়া, ২০২৯-২০৩১ চক্রে অস্ট্রেলিয়াও একটি বড় নারী টুর্নামেন্টের আয়োজক নির্বাচিত হয়েছে।’
বিসিসিআই জানিয়েছিল যে, তারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তানে খেলতে যাবে না। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সম্ভাব্য সূচি ছিল, কিন্তু ভারতীয় দলের এই সিদ্ধান্তে আইসিসি, বিসিসিআই এবং পিসিবির মধ্যে ত্রিমুখী অচলাবস্থা তৈরি হয়। এই সময়ে বিসিসিআই সচিব জয় শাহ আইসিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং এই সংকট সমাধানের দায়িত্ব তার কাঁধেই ছিল।
মন্তব্য করুন