প্রায় দেড় যুগ ক্রিকেট খেলা সাকিব, খেলার বাইরের একাধিক ইস্যু নিয়ে তৈরি করেছেন বিতর্ক, হয়েছেন নিষিদ্ধ। কিন্তু মাঠের খেলায় সাকিব বরাবরই ছিলেন উজ্জ্বল। তবে সম্প্রতি ইংল্যান্ডের কাউন্টি খেলতে গিয়ে আম্পায়ররা তার বোলিংয়ের ত্রুটি ধরলে, ক্যারিয়ারের শেষভাগে এসে নতুন করে পরীক্ষা দিতে হয় তাকে। যে পরীক্ষার ফল আসেনি সাকিবের পক্ষে, নিষিদ্ধ হয়েছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেট থেকে। তাই তো প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ারটাই শেষ সাকিবের?
গোটা বিশ্বের কাছে সাকিব বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড় এক বিজ্ঞাপন। কিন্তু রাজনৈতিক ইস্যুতে দেশের মাটিতে বিদায়ী টেস্ট খেলার ইচ্ছা পোষণ করলেও তা পূরণ হয়নি। সে কারণে আপাতত বাইরের দেশের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট খেলেই সময় পার করছেন সাবেক বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। কিন্তু ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের এই নিষেধাজ্ঞা, অন্যান্য দেশের টুর্নামেন্টেও ফেলতে পারে প্রভাব।
ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের লাফবরো ইউনিভার্সিটির মেডিকেল বিভাগ সাকিবের ২৪ ডেলিভারি বিশ্লেষণ করে বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি পেয়েছে। জানা গেছে, নির্ধারিত ১৫ ডিগ্রির চেয়ে বেশি বেঁকে যাচ্ছিল সাকিবের হাত। সে কারণে সাকিবের বোলিং নিষিদ্ধ করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। সামনে কাউন্টি বা অন্য কোনো টুর্নামেন্টে খেলতে গেলে শুধু ব্যাটার হিসেবেই খেলতে পারবেন এ অলরাউন্ডার।
আইসিসির কোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্টে সাকিবের বোলিং করতে আপাতত কোনো বাধা নেই। কিন্তু সাকিবের বোলিং এখন যে কোনো টুর্নামেন্টেই আম্পায়ারদের তীক্ষ্ণ নজরে থাকবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্য যে দেশের আম্পায়ররা সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন সে দেশেই সাকিবকে দিতে হবে অ্যাকশন পরীক্ষা।
তবে সবচেয়ে বড় শঙ্কার বিষয় হলো, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ে। বর্তমান সময়ে সাকিব দেশের হয়ে না খেললেও জোর সম্ভাবনা আছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার। যেখানে সাকিবের বোলিং নিয়ে আইসিসির বিশেষজ্ঞরা তুলতেই পারেন প্রশ্ন। আর এমন কিছু হলেই ক্রিকেট থেকে হারিয়ে যেতে হবে বোলার সাকিবকে। দেশের ক্রিকেটের জন্য এটা বড় এক অশনি সংকেতই বলা চলে।
মন্তব্য করুন