৬, ১*, ০, ০, ২, ৪—এটা কোনো টেলিফোন নম্বর না। সর্বশেষ ছয় ইনিংসে লিটন দাসের ব্যাটিং। নিউজিল্যান্ড, চট্টগ্রাম পেরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ—ওয়ানডেতে লিটনের ব্যর্থতার মিছিল ক্রমেই লম্বাই হচ্ছে। বাদ পড়ে ফেরার পরও কোনো প্রকার উন্নতির দেখা মেলেনি তার ব্যাটিংয়ের ধরনেও। উল্টো অতিরিক্ত বল নষ্টই করতে দেখা গেল এই টপ অর্ডার ব্যাটারকে।
প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে গেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচটি তাই সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জও বটে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিলেন লিটন। জেডেন সিলসকে খেলতে গিয়ে উল্টো ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে ফিরলেন তিনি। ১৯ বলে করলেন মাত্র ৪ রান। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৫৫ রান।
সৌম্য সরকার আবারও ব্যর্থ হলেন উদ্বোধনীতে ভালো শুরু এনে দিতে। তার ফেরা যেমন শঙ্কা বাড়লো। তেমনি বড় শঙ্কায় ফেলে ফিরলেন লিটন। ওয়ানডেতে লিটনের ব্যর্থতা কয়েকটি সিরিজ ধরেই। বিশেষ করে বললে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে আর কোনো ফিফটিও ছোঁয়া হয়নি তার। এর মধ্যে মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের মাঝপথে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। লম্বা সময় পর ফিরেছিলেন বটে। কিন্তু ব্যর্থতার বৃত্ত আর ভাঙতে পারলেন না। প্রথম ওয়ানডেতে ১৩ বল খেলে করেছিলেন মাত্র ২ রান। গতকাল সংখ্যাটা আরও বেশি হলো। খেললেন ১৯টি বল। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজকেও নিজের তৃতীয় শিকার বানান সিলস। চাপের সময় যেন আরও চাপই বাড়ালেন।
মন্তব্য করুন