আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগকে (এনসিএল) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। খেলোয়াড় সংযুক্তি এবং কার্যক্রমে নিয়ম লঙ্ঘনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইসিসি সম্প্রতি টি-২০ এবং টি-১০ লিগের জন্য আরও কঠোর নির্দেশিকা চালু করেছে। এনসিএল নিয়ম অনুযায়ী একাদশে অন্তত সাতজন ইউএসএ ক্রিকেট (ইউএসএসি)-ভুক্ত বা সহযোগী খেলোয়াড় রাখার শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং, তাদের ম্যাচগুলোতে ছয় বা সাতজন বিদেশি খেলোয়াড় খেলানো হয়েছে, যা সরাসরি আইসিসির নিয়ম ভঙ্গ করেছে।
এছাড়া, অস্থায়ী ভেন্যুগুলোর মানহীন পিচে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই পিচগুলো এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল যে, ওয়াহাব রিয়াজ এবং টাইমাল মিলসের মতো বোলাররা আহত হওয়ার আশঙ্কায় স্পিন বল করতে বাধ্য হন।
লিগটি ছিল বেশ কয়েকজন নামকরা ক্রিকেট ব্যক্তিত্বের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত। এর মধ্যে ছিলেন ওয়াসিম আকরাম এবং ভিভিয়ান রিচার্ডসের মতো অ্যাম্বাসেডররা এবং মালিকদের তালিকায় ছিলেন শচীন টেন্ডুলকার ও সুনীল গাভাসকার। আমেরিকান ক্রিকেটে এটি একটি বড় আসর হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই যাত্রা শুরু করেছিল এনসিএল।
তবে পরিচালনাগত ব্যর্থতা, বিশেষ করে বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য সঠিক ভিসা না নেওয়ার অভিযোগ, লিগের বিশ্বাসযোগ্যতাকে নষ্ট করেছে। রিপোর্টে জানা গেছে, অনেক খেলোয়াড় ক্রীড়া ভিসার বদলে পর্যটক ভিসা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন, যা মার্কিন অভিবাসন আইনের লঙ্ঘন।
আইসিসি তাদের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী লিগ অনুমোদনের মান বজায় রাখতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ এশীয় প্রবাসীদের আগ্রহ এবং আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণের কারণে টি-২০ এবং টি-১০ লিগের আবেদন বেড়েছে।
এদিকে, আইসিসির সতর্কবার্তা অনুসরণ করে ইউএসএসি সম্প্রতি ইউএস ওপেন টি-২০ টুর্নামেন্টের অনুমোদন বাতিল করেছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটে আরও কঠোর মানদণ্ড বাস্তবায়নের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
মন্তব্য করুন