৩ ওভারে তখন দরকার ৩৩ রান। ১৮তম ওভারেই ১৫ রান তোলেন দারুণ ছন্দে থাকা শারমিন আক্তার সুপ্তা। ১২ বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮। ননস্ট্রাইকে তখন ১২ বলে ২২ রান করে অপরাজিত সুপ্তা। ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হলেন স্বর্ণা আক্তার। নতুন ব্যাটার রিতু মনি এসে তিন বলে খেলে কোনো রান করতে পারলেন না; উল্টো দলকে চাপে ফেলেই ফিরে গেছেন সাজঘরে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ১২ রানে হার দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করল নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। ১-০ এগিয়ে গেল আয়ারল্যান্ড। তবে আরও একবার প্রশ্ন জাগাল, রিতু কি দলে অটো চয়েজ!
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১৬৯ রান তোলে আয়ারল্যান্ড। জবাবে দারুণ শুরু পেয়েও ১৫৭ রানে গিয়ে থামল স্বাগতিকরা। ১২ রানের জয়ের দিনে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হলেন অর্লিনে কেলি।
ম্যাচটা জিততে পারত বাংলাদেশ। সে সুযোগও তৈরি করেছিল। কিন্তু ১৮তম ওভারে কোনো রান তো নিতে পারলই না। উল্টো আইরিশদের দুটি উইকেট উপহার দিল বাংলাদেশ। এতে জেতার সুযোগটাও নষ্ট হলো। অবশ্য এখানে হতাশ করেছেন ১২ বছর ধরে জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ রিতু মনি। জাতীয় দলের হয়ে ক্যারিয়ারের ৭৫তম টি-টোয়েন্টি খেললেন তিনি। অথচ ৩ বলে কোনো রানই করতে পারলেন না!
রিতু মনির ক্যারিয়ার কখনোই সমৃদ্ধ দেখা যায়নি। ৭৫ ম্যাচে ৬০ ইনিংস বিভিন্ন পজিশনে ব্যাটিং করেছেন তিনি। ১০.৯৭ গড়ে রান করেছেন মাত্র ৪৭২; সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৯ রান। সমান ম্যাচে ৪৬ ইনিংসে বোলিং করেছেন তিনি। ১১১.৩ ওভারে নিয়েছেন মোটে ২৯ উইকেট। তারপরও নিয়মিতই জাতীয় দলে দেখা যায় এই অলরাউন্ডারকে। বিকল্পের অভাব নাকি রিতু মনির ওপর অতি নির্ভরশীলতা থেকেই বারবার দলে নেওয়া-তার কোনো উত্তর মেলেনি।
হারের জন্য আরও একবার দায় নিতে পারেন ব্যাটাররা। অবিশ্বাস্য ভাগ্য সহায়ক ছিল তাদের সঙ্গে। ১২ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ হয়েছিল ১০৩ রান। প্রতিপক্ষের হাত ফসকে ৬ বার জীবনও পেয়েছিলেন ওপেনার দিলারা আক্তার। কিন্তু জীবন পাওয়ার ফাঁকে আর রান করতে পারেননি তিনি। ৪১ বলে ৪৯ রান করে ক্যাচ তুলে ফেরেন। আরেক ওপেনার সোবহানা মোস্তারি ৩৫ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন। মিডল অর্ডারে শারমিন আক্তার সুপ্তা ১৩ বলে খেলেন ২৩ রানের ইনিংস। এতে জয়ের আশা জেগেছিল বটে। কিন্তু শেষ দুই ওভারে হাত থেকে ম্যাচটাই ফসকে ফেলে জ্যোতির দল।
মন্তব্য করুন