২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। টুর্নামেন্টটি কীভাবে আয়োজন করা হবে, তা নিয়ে আইসিসির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো আসেনি। তবে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে, হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্টটি আয়োজনে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) রাজি হয়েছে, যদিও এ বিষয়ে পরিষ্কার কোনো ধারণা মেলেনি।
৫ ডিসেম্বর দুবাইয়ে আইসিসির বৈঠকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর আগেই বিসিবি থেকে নতুন একটি প্রস্তাব আলোচনায় এসেছে। বিসিবি চাইছে, যদি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হাইব্রিড মডেলে হয়, তবে ভারতের ম্যাচগুলো ঢাকায় আয়োজন করতে।
বিসিবির এক কর্মকর্তার বরাতে দেশের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বাংলাদেশের মাঠে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কিছু ম্যাচ আয়োজন দেশের ক্রিকেটের জন্য বড় সুযোগ হবে। কর্মকর্তার ভাষ্য মতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কয়েকটি ম্যাচ মিরপুরের মাঠে হলে তা দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে।
এ বিষয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির ফোনে কথা হয়েছে। নাকভি বাংলাদেশের সমর্থন চেয়েছেন এবং ফারুক আহমেদ ভারতের ম্যাচ ঢাকায় আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে না চাইলেও বিষয়টি নিয়ে কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তবে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং ভারতের আরব আমিরাতে খেলার আগ্রহ বিবেচনায়, ভারতের ম্যাচগুলো বাংলাদেশে আয়োজনের সম্ভাবনা কম। বিসিবির এক কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন যে ভারত বাংলাদেশে খেলতে রাজি হবে কি না, সেটি নিয়ে সন্দেহ আছে।
পিসিবি হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের ক্ষেত্রে দুটি শর্ত দিয়েছে। এক, আইসিসির রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশ পিসিবিকে দিতে হবে। দুই, ২০৩১ সাল পর্যন্ত ভারতের বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে হাইব্রিড মডেলের শর্ত প্রযোজ্য হবে।
সবশেষে, ৫ ডিসেম্বর আইসিসির বৈঠকেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বিসিবি প্রস্তাব দিলেও ভারতের মতামত এবং পিসিবির অবস্থানই মূলত এই আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মন্তব্য করুন