অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার প্রথম টেস্ট ম্যাচে স্বাগতিক দল তাদের আধিপত্য প্রমাণ করে ২১০ রানের জয় পেয়েছে। শেষ দিনের সকালেই দ্বিতীয় ইনিংসে দলীয় মাত্র ১৩২ রানে শেষ ব্যাটার শরীফুল রিটায়ার্ড হার্ট হলে ক্যারিবীয়রা তাদের কাঙ্খিত জয় পায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের শক্তিশালী পেস আক্রমণ বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারকে বিধ্বস্ত করে দেয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ৪৫০ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করায়। জাস্টিন গ্রেভস এবং কেমার রোচের অসাধারণ পারফরম্যান্স ম্যাচের টার্নিং পয়েন্টে পরিণত হয়। অষ্টম উইকেটে তাদের ১৪০ রানের পার্টনারশিপ বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দেয়। কেমার রোচ ৪৭ রান করে নিজের সর্বোচ্চ টেস্ট স্কোর গড়েন।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ২৬৯/৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। জাকের আলি ও মুমিনুলের হাফ-সেঞ্চুরি ইনিংস কিছুটা আশা জাগালেও বাকি ব্যাটসম্যানরা তেমন অবদান রাখতে ব্যর্থ হন। ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকেও বাংলাদেশ অবাক করে দিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে। দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিবীয়দের বাংলাদেশের বোলাররা চেপে ধরলে মাত্র ১৫৪ রানে গুটিয়ে যায় তারা। এরপর ৩৩৪ রানের টার্গেটে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ মাত্র ১৩২ রানে গুটিয়ে যায়।
শরিফুল ইসলাম দ্বিতীয় ইনিংসে আলজারি জোসেফের বাউন্সারে আহত হলে ব্যাটিং থেকে সরে দাঁড়ান। শেষ মুহূর্তে টেলএন্ডারদের আর ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয়নি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসারদের মধ্যে কেমার রোচ, জেডেন সিলস, এবং আলজারি জোসেফ অসাধারণ বোলিং করেন। তাদের আগ্রাসী বোলিংয়ে বাংলাদেশের টপ অর্ডার কার্যত ধসে পড়ে।
ম্যাচ শেষে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং এবং বোলিং উভয় ক্ষেত্রেই উন্নতির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশের জন্য এই টেস্ট সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানো জরুরি, কারণ তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে আরও শক্তিশালী পারফরম্যান্স প্রয়োজন। অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইবে।
মন্তব্য করুন