সাকিব আল হাসান-রশীদ খানের আবুধাবি টি-টেন লিগে মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে নতুন করে আবারও উঠেছে ফিক্সিংয়ের প্রশ্ন। এবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা। সোমবার (২৫ নভেম্বর) দিল্লি বুলস ও বাংলা টাইগার্সের ম্যাচে শানাকার একটি ওভারে ঘটে অস্বাভাবিক ঘটনা।
শানাকার ওভারে কী হয়েছিল?
দিল্লি বুলসের ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ে আসেন শানাকা। প্রথম বলেই চার মারেন নিখিল চৌধুরী। পরের দুটি ডেলিভারি হয় নো বল, এবং সেগুলোতেও বাউন্ডারি মারেন ব্যাটসম্যান। ওভারের দ্বিতীয় বৈধ বলেও চার মারেন নিখিল। তৃতীয় বৈধ ডেলিভারিতে তিনি হাঁকান ছক্কা।
শানাকার চতুর্থ ও পঞ্চম ডেলিভারিও ছিল নো বল, আর শেষ নো বলে আবারও হয় চার। সব মিলিয়ে ওভারটি থেকে ৩৩ রান সংগ্রহ করে দিল্লি বুলস, যার মধ্যে ৩ বলেই আসে ৩০ রান!
ফিক্সিং বিতর্কের আগুনে ঘি
এই ঘটনার পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকেই এটি নিয়ে আইসিসির দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন। একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন তুলেছেন, ‘টি-টেন লিগ কি কৌতুক নাকি ফিক্সিংয়ের মঞ্চ?’
এর আগেও ২২ নভেম্বর এই লিগে পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ বিলালের একটি অস্বাভাবিক নো বল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। শানাকার এই ওভার যেন সেই বিতর্ককেই আরও উসকে দিল।
বাংলা টাইগার্সের জয় ও সাকিবের পারফরম্যান্স
বাংলা টাইগার্সের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও কাল বোলিংয়ে সংগ্রাম করেছেন। এক ওভারে তিনি দিয়েছেন ২৫ রান। তবে সাকিবের দল শেষ পর্যন্ত ১০ ওভারে দিল্লি বুলসের ১২৩ রানের লক্ষ্য ২ বল বাকি থাকতেই তাড়া করে জয় পেয়েছে। এটি তাদের চলতি আসরের প্রথম জয়।
ব্যাট হাতে শানাকা অবশ্য ১৪ বলে ৩৩ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন। তবে তার বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই থাকবে, যা টি-টেন লিগের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে নতুন করে সংশয় তৈরি করছে।
টি-টেন লিগ ইতিমধ্যেই ফিক্সিং সন্দেহ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে। আইসিসি এই বিষয়ে কোনো তদন্ত করবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মন্তব্য করুন