ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম ইনিংসেই ডুবেছিল রাজশাহী বিভাগ। দ্বিতীয় ইনিংসে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ইনিংস ও ১১ রানের ব্যধানে হেরেছে রাজশাহী। দুদিনেই মিলল ম্যাচটির ফল। ঢাকার হয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন পেসার এনামুল হক। অন্য ম্যাচে সিলেটের হয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন পেসার রেজাউর রহমানও। সেঞ্চুরি পেয়েছেন চট্টগ্রামের পারভেজ হোসেন। চট্টগ্রামের বিপক্ষে খুলনার হয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথম দিনেই হারের রাস্তা তৈরি হয়ে যায় রাজশাহীর।
জাতীয় লিগে সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর ৪২ রানে অলআউট হয় তারা। ঢাকার সুমন খান হ্যাটট্রিকসহ নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। জবাবে ঢাকার ব্যাটিংও খুব একটা ভালো হয়নি। তবে যা করেছে তা ইনিংস জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল। জিশান আলমের ৪৪ ও রনি তালুকদারের ৪০ রানের সৌজন্যে ঢাকা তাদের প্রথম ইনিংসে ১৮১ রান করে। ১৩৯ রানের পিছিয়ে থাকা রাজশাহী তাদের দ্বিতীয় ইনিংসেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ঢাকার পেসার এনামুল হক ৫ উইকেট নিলে রাজশাহী অলআউট হয় ১২৮ রানে।
সিলেটে রেজাউর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও ৩০৪ রান তুলেছে বরিশাল। জবাবে তিন ফিফটিতে দ্বিতীয় দিন শেষে সিলেট করেছে ৬ উইকেটে ২১৭ রান। তিনে নামা মবিন আহমেদ ৫৩ রান করে আউট হয়েছেন। ফর্মে থাকা সিলেটের অধিনায়ক অমিত হাসান ৫৬ রানে থেমেছেন। ৫৩ রান করে আউট হয়েছেন নাসুম আহমেদ।
সিলেটের ২নং গ্রাউন্ডে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৪০ রানে এগিয়ে আছে খুলনা। গতকাল নাঈম হাসান ৫ উইকেট নিলে খুলনা অলআউট হয় ২০৪ রানে। জবাবে চট্টগ্রাম থামে ২২০ রানে। সেঞ্চুরির দেখা পান পারভেজ হোসেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৫তম ম্যাচে এসে তিনি প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন।
কক্সবাজার মানেই যেন বড় রান। জাতীয় লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডে ঢাকা মহানগর ও রংপুর বিভাগের ম্যাচে তা আরও একবার প্রমাণিত হলো। মোহাম্মদ নাঈমের ক্যারিয়ার সেরা ১৮০ রানে চড়ে ৪৭৫ রানে থামে ঢাকা মেট্রো। জবাবে রংপুরের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ২ রানে দুই ওপেনার খালিদ হাসান ও চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে দলটি। ৪৪৩ রানে ঢাকা মেট্রো।
মন্তব্য করুন