আয়োজক স্বত্ব অনুসারে ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হওয়ার কথা পাকিস্তানে। কিন্তু ভারত সরকারের তাদের ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভেন্যু নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। দুই দেশ জড়িয়েছে সেই পুরোনো রেশারেশিতে। শেষ পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তানের এ কাইজ্জা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে পৌঁছাল।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন। জবাব দেন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। এতে ভারত ও পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে সংযোগ তৈরিতে দেশ দুটিকে ‘ক্রীড়া কূটনীতি’র কথা মনে করিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আসন্ন। ভারত এই টুর্নামেন্ট খেলতে পাকিস্তানে দল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ভারত রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে ২০০৮ সালের পর পাকিস্তানে ক্রিকেট দল পাঠায়নি। রাজনীতির সঙ্গে খেলাধুলা মেশানো কি ঠিক হচ্ছে?
বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘খেলাধুলা অবশ্যই একটি শক্তিশালী এবং সংযোগকারী শক্তি। এই দপ্তর সত্যিকার অর্থে ক্রীড়া কূটনীতির ভূমিকাকে অগ্রাধিকার দেয়, যা মানুষকে সংযুক্ত করতে পারে। এটি এমন কিছু যা, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জন্য অবিশ্বাস্য রকমের গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে ভারত–পাকিস্তানই নিজেদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে থেকে কথা বলুক। আমরা এর মাঝে প্রবেশ না করি।’
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক সূচি অনুযায়ী ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু ভারত সরকার পাকিস্তানে দল পাঠাতে মানা করেছে বলে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিকে জানিয়েছে। এর জেরে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আইসিসির কাছে ভারতের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। সব মিলে দুই দেশের কূটনীতিতে এখন ক্রিকেট ইস্যু ফের সক্রিয়। এদিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এখন অচলাবস্থায়।
মন্তব্য করুন