জাতীয় দলের কোচিং বহরে যুক্ত হয়েই কাজ শুরু করে দিয়েছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। টেস্ট স্কোয়াডে থাকা তাইজুল ইসলাম, সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়দের নিয়ে গতকালও মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের ইনডোরে কাজ করতে দেখা যায় তাকে। এবার টেস্ট দলকে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশে আজ সন্ধ্যার একটি ফ্লাইটে রওনা দেবেন সালাউদ্দিন। এ সময় দুবাইতে প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের সঙ্গেও প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে দেখা হবে তার। তবে এক যুগের বেশি সময় পর জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে পরিবর্তন আনতে চান তিনি। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিবর্তন আনতে পারলেও খুশি হবেন বলে রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে মিরপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সালাউদ্দিন।
প্রথম মেয়াদে চার বছরের মতো জাতীয় দলের ফিল্ডিং ও সহকারী কোচ ছিলেন সালাউদ্দিন। সে সময়ই সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবালদের উঠে আসার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনিও। এবার রোলটা ভিন্ন হবে বলে মনে করেন সালাউদ্দিন, ‘আমার ভূমিকাটা হয়তো ভিন্ন হবে আগেরবারের তুলনায়। চেষ্টা করব আমাদের ছেলেরা যেন আরেকটু আত্মবিশ্বাস হয়। সেই সঙ্গে আমাদের যে বিদেশি কোচরা আছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগটা যেন আরেকটু ভালো হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার।’
১৪ বছর ধরে বিসিবির কোনো বিভাগেই ছিলেন না সালাউদ্দিন। তবে বোর্ডে পরিবর্তন আসার পর থেকেই তার সঙ্গে নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদের আলোচনার শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত সহকারী কোচের ভূমিকায় ডাকও পান তিনি। জাতীয় ফেরার অনুভূতি জানতে চাইলে দেশের অন্যতম সেরা এই কোচের মন্তব্য, ‘আমার আসলে অনুভূতি খুব কম; অনুভূতি হয় না। কারণ, এটা আমার পেশা। আমি যেই জার্সিতেই থাকি, সেটাতে পুরোটা দেওয়াই হচ্ছে আমার কাজ। আমি যেন ১১০ ভাগ দিতে পারি এবং আমি আমার সেরাটা যেন দিতে পারি। আমি যেহেতু পেশাদার কোচ, আমি যেখানে কাজ করবো সেখানেই আমার পুরোটা দিতে হবে।’
সালাউদ্দিনের সামনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ ও টুর্নামেন্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর তার দায়িত্ব গড়াবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলকে ভালো কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করা। সালাউদ্দিন অবশ্য চাপ নিচ্ছেন না, ‘চ্যাম্পিনস ট্রফি পর্যন্ত সময় যতটুকুই হোক আমি যদি কারও জীবনে সামান্য প্রভাব রাখতে পারি, সেটাই মনে করি স্বার্থকতা। কারও জীবন ব্যাকরণগত দিক থেকে অনেক পরিবর্তন করতে পারব না। কিন্তু আমার একটা কথা বা কিছুতে কিছুটা পরিবর্তন হয় আমি মনে করি সেটা আমার জন্য অনেক বড় স্বার্থকতা।’
দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কোচিং পেশার সঙ্গে জড়িত তিনি। দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে এবং ক্রিকেটারদের আরও সমৃদ্ধ করতে কাজ করে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি।
মন্তব্য করুন