সে অনেক দিন আগের কথা। তখন সাইম আইয়ুবের বয়স এক মাসও হয়নি, আর নাসিম শাহ তখনও পৃথিবীতে আসেননি। সেই সময় পাকিস্তান দলে খেলতেন কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম, সাঈদ আনোয়াররা।
২০০২ সালের জুন মাসে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতে। দীর্ঘ ২২ বছর পর আবার অস্ট্রেলিয়ায় ওয়ানডে সিরিজ জেতার স্বাদ পেল পাকিস্তান। পার্থে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করে অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান।
রোববার (১০ নভেম্বর) পার্থে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে পাকিস্তান দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় ঐতিহাসিক সিরিজ জয় অর্জন করেছে। প্রথম ম্যাচে অল্প ব্যবধানে পরাজিত হওয়ার পর পাকিস্তান অ্যাডিলেড এবং পার্থে পরিপূর্ণভাবে ফিরে আসে এবং বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে পুরোপুরি পরাভূত করে।
২০০২ সালের পর এই প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান। প্রধান কোচ গ্যারি কারস্টেনের আকস্মিক পদত্যাগের মধ্যেও পাকিস্তান অনুপ্রাণিত ছিল। অস্ট্রেলিয়ান কোচ জেসন গিলেসপির নেতৃত্বে পাকিস্তানের চারজন পেসারের দল অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস ৩১.৫ ওভারে ১৪০ রানে গুটিয়ে দিতে সক্ষম হয়।
ম্যাচের শুরুতে অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন, যা দ্রুতই সঠিক বলে প্রমাণিত হয়। শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও হারিস রউফের ত্রিমুখী আক্রমণে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা বাউন্সার ও সুইংয়ের সামনে আত্মসমর্পণ করেন। আফ্রিদি ও নাসিম তিনটি করে উইকেট লাভ করেন, রউফ ২৪ রানে দুটি উইকেট নেন। অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র ওপেনার ম্যাট শর্ট ২২ রানের স্কোর করে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও রউফের হাতে আউট হয়ে যান।
অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণে ল্যান্স মরিস দুই ওপেনারকে আউট করে পাকিস্তানকে কিছুটা চাপে রাখেন। কিন্তু রিজওয়ান এবং বাবর আজম দ্রুত রান সংগ্রহ করে ২৭তম ওভারেই ম্যাচ শেষ করেন।
প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্ব করা রিজওয়ানের জন্য এটি ছিল স্মরণীয় সিরিজ।
ফলাফল : পাকিস্তান ১৪৩/২ (আইয়ুব ৪২, শফিক ৩৭, মরিস ২-২৪)
অস্ট্রেলিয়া ১৪০ (অ্যাবট ৩০, আফ্রিদি ৩-৩২, নাসিম ৩-৫৪, রউফ ২-২৪)
পাকিস্তান আট উইকেটে জয়ী।
মন্তব্য করুন