ধীরগতিতে হলেও জয়ের দিকে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে ১৩১ রান তোলার পর মনে হচ্ছিল আফগানিস্তানের দেওয়া ২৩৬ রানের লক্ষ্য সহজেই পেরোবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। কিন্তু মাত্র ১২ রান যোগ করতেই বাকি ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা।
বুধবার (৬ নভেম্বর) টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। ৪৯ ওভার ৪ বলে তাদের ইনিংস শেষ হয় ২৩৫ রানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন মোহাম্মদ নবি এবং হাশমতউল্লাহ শাহিদি তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ ফিফটি। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান উভয়েই ৪টি করে উইকেট দখল করেন, যা আফগানদের বড় স্কোর করতে বাধা দেয়।
লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে তানজিদ তামিম ও সৌম্য সরকার ওপেনিংয়ে নামেন। তবে তানজিদ শুরুতেই আউট হলে বাংলাদেশের উপর চাপ বাড়ে। সৌম্য ও শান্ত দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫৩ রান যোগ করেন এবং দলের ভিত শক্ত করে। সৌম্য ৩৩ রান করে ফিরলেও শান্ত উইকেটে টিকে থাকেন এবং ৬৮ বলে ৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন।
বাংলাদেশ ২ উইকেটে ১২০ রান তুললেও শান্ত আউট হওয়ার পর দ্রুত উইকেট হারাতে শুরু করে। প্রথমে মেহেদি হাসান মিরাজ ২৮ রানে আউট হন, এরপর অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন রিশাদ হোসেন ও তাওহিদ হৃদয়। শেষদিকে তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামও দ্রুত আউট হলে মাত্র ৩৪.৩ ওভারে ১৪৩ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
আফগানিস্তানের হয়ে আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফার একাই তুলে নেন ৬ উইকেট। তার অসাধারণ ক্যারম বল টাইগারদের জন্য বিপজ্জনক প্রমাণিত হয় এবং বাংলাদেশকে ১৪৩ রানে অলআউট করতে মূল ভূমিকা রাখেন তিনি।
এ পরাজয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচে জয়ের আশা ছিল, কিন্তু শেষের ৭ উইকেটের পতনে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে, যা টাইগারদের জন্য এক অবিশ্বাস্য ও হতাশাজনক পরিণতি
মন্তব্য করুন