আফগানদের ৭১ রানে ৫ উইকেট তুলে নেওয়ার পর বাংলাদেশ নিশ্চয়ই আশায় ছিল স্বল্প রানে আফগানদের বেঁধে ফেলার। তবে আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি ও মোহাম্মদ নবী সেটি হতে দিলেন না। এই দুই জনের ১০৪ রানের জুটি ম্যাচে ফেরায় বাংলাদেশকে। আর তাতে ভর করেই শারজায় লড়াই করার মতো সংগ্রহ করতে পেরেছে আফগানিস্তান।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় বাংলাদেশ ও আফগানদের মধ্যে প্রথম ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করে সব উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান সংগ্রহ করে আফগানরা। আফগানদের পক্ষে সর্বোচ্চ রান আসে মোহাম্মদ নবীর (৮৪) ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের পক্ষে মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ নেন ৪টি করে উইকেট।
শারজায় ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেটের দেখা পান তাসকিন। বরাবরই তাসকিনের বলে দূর্বল আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ফিরেন ৫ রান করে। কিছুদিন আগেও তাসকিনের বলে আউট হওয়া গুরবাজ যেন মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়েন তাসকিনের বলের সামনে। এরপর নিজের প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসে মোস্তাফিজুরও আঘাত হানেন। তার বল কাট করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মাত্র ২ রান করা রহমত শাহ।
এরপর ম্যাচের দশম ওভারে মোস্তাফিজুরের জোড়া আঘাত ফেরান আলোচিত ওপেনার সেদিকুল্লাহ অটল ও আজমতউল্লাহকে। ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারানো অবস্থায় হাশমতউল্লাহ শাহিদি ও গুলবাদিন নাইব ইনিংস গড়ার চেষ্টা করেন, তবে তাসকিন তাদের ৩৬ রানের এই জুটিটিও ভেঙে দেন। এরপর নবি ও শাহিদি ১০৪ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। ৮৭ বলে ফিফটি করেন শাহিদি, আর নবি ৫২ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন।
ব্যক্তিগত ৫২ রানে শাহিদি আউট হলে ভাঙে এই জুটি। তবে নবি একপ্রান্তে টিকে থেকে ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন। শেষদিকে নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতের অপরাজিত ২৮ রানে আফগানিস্তান দুইশ পেরোনো সংগ্রহ গড়ে।
শেষের দিকে মোস্তাফিজ ও তাসকিন দুজনেরই ৪ উইকেট হয়। আশা ছিল একজন ফাইফার পাবেন। তবে শেষ উইকেটটি রান আউট হওয়ায় তা আর হয়নি।
মন্তব্য করুন