বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার চলমান চট্টগ্রাম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা রীতিমতো রান উৎসব করলেন। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে বিপর্যস্ত করে প্রোটিয়ারা তুলেছে ৬ উইকেটে ৫৭৭ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ। ডি-জর্জি ও স্টাবসের পর মুল্ডারের অসাধারণ সেঞ্চুরি ইনিংস ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অপরাজিত ১০৫ রানের ইনিংস খেলেছেন মুল্ডার, যিনি ১৫০ বলের মধ্যে এই অর্জন করেন। তার সঙ্গী মুতুসামি অপরাজিত ছিলেন ৭০ রানে।
প্রথম দিনেই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান টনি ডি জর্জি (১৭৭) ও ট্রিস্টান স্টাবস (১০৬)। দুজনই প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি পূর্ণ করে দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে নেন। ডি জর্জি আউট হন ১৭৭ রানে, আর তার অসাধারণ ইনিংসের ভিত্তিতে মোট ১৪৪ ওভার স্থায়ী হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। বাংলাদেশি উইকেটকিপার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ক্যাচ মিসের সুযোগে ডি জর্জি নিজের ইনিংস বড় করতে থাকেন এবং বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে দেন।
প্রথম দিনে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়ারা ৩৭৮ রান তোলে, এবং পরের দিন বাংলাদেশের বোলাররা কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের দাপটে সফল হয়নি।
তাইজুল ইসলামের বোলিংয়ে ছিল খানিকটা সান্ত্বনা। তিনি ৫ উইকেট শিকার করেন এবং পুরো ইনিংসে ছিলেন বাংলাদেশের সেরা বোলার। তবে হাসান ও নাহিদের পেস আক্রমণ উন্মুখ হলেও সুবিধা করতে পারেনি এবং পুরো দল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস থামাতে ব্যর্থ হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং ইনিংসে ৩টি সেঞ্চুরি আসে, যা এশিয়ায় প্রোটিয়াদের জন্য প্রথম। টেস্টের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলে ডি জর্জি ও স্টাবসের ব্যাটিং প্রদর্শনীতে প্রথম দিনে বাংলাদেশ চাপে পড়ে যায়। দ্বিতীয় দিনের খেলায় ৪ উইকেট নেওয়া গেলেও শেষ পর্যন্ত মুল্ডার ও মুতুসামির ১৪৪ রানের জুটিতে ইনিংসটি ৫৭৭ রানে পৌঁছে যায়।
এই সংগ্রহটি দক্ষিণ আফ্রিকার এশিয়ায় অন্যতম বড় সংগ্রহ। চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়ার রেকর্ডও করেছেন মুল্ডার ও মুতুসামি। এখন বাংলাদেশ প্রোটিয়া রান পাহাড়ের জবাব কীভাবে দেয় তা দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন