সাজিদ খান ও নোমান আলি আবারও ইংল্যান্ডের ব্যাটিংকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে পাকিস্তানকে ইংলিশদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় এনে দিয়েছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এই স্পিন জুটি ইংল্যান্ডের ইনিংসের ১০ উইকেটই তুলে নিয়ে তাদের মাত্র ১১২ রানে গুটিয়ে দেয়, যার ফলে পাকিস্তানের সামনে জয়ের জন্য ৩৬ রানের সহজ লক্ষ্য নির্ধারিত হয়।
নোমান ও সাজিদ ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণ চালিয়ে যান এবং পুরো ইনিংসে একটানা বল করেন, ঠিক যেমনটি তারা আগের ম্যাচেও করেছিলেন। হ্যারি ব্রুক শুরুতে সাজিদকে পরপর দুটি বাউন্ডারি মেরে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠলেও, নোমানের বাড়তি বাউন্সে ব্রুক পরাস্ত হয়ে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।
এরপর, বেন স্টোকসও নোমানের এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়লে ইংল্যান্ড আবারও বিপদে পড়ে। ইংল্যান্ডের অবস্থার আরও অবনতি ঘটে যখন জেমি স্মিথ বড় শট খেলার চেষ্টা করেন, কিন্তু সাজিদ বলের লেন্থ পরিবর্তন করে তাকে বিভ্রান্ত করে আউট করেন। কিছুক্ষণ পর, ইংল্যান্ড দল স্কোরে ঘাটতি কাটিয়ে উঠলেও ছয় উইকেট ইতোমধ্যেই হারিয়ে ফেলে।
জো রুট ছিলেন ইংল্যান্ডের শেষ ভরসা, তবে নোমান তাকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন এবং ইংল্যান্ডের ক্ষীণ প্রত্যাবর্তনের আশাও শেষ হয়ে যায়। নোমান আলি শেষ পর্যন্ত জ্যাক লিচকে স্ট্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে আউট করে তার ছয় উইকেট পূর্ণ করেন এবং দ্বিতীয় টেস্টের পর আবারও পাকিস্তানের স্পিন আক্রমণ পুরো ২০ উইকেট তুলে নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করে।
জয়ের জন্য পাকিস্তানের মাত্র ৩৬ রান প্রয়োজন হলে অধিনায়ক শান মাসুদ মারকুটে ব্যাটিংয়ে ৬ বলে ২৩ রান করে পাকিস্তানকে ৯ উইকেটের সহজ জয় এনে দেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ২৬৭ (জেমি স্মিথ ৮৯; সাজিদ খান ৬/১২৮) এবং ১১২ (জো রুট ৩৩; সাজিদ খান ৬/৪২) হেরে যায় পাকিস্তানের কাছে, যারা করেছিল ৩৪৪ (সৌদ শাকিল ১৩৪; রেহান আহমেদ ৪/৬৬) এবং ৩৭/১ (শান মাসুদ ২৩*)
মন্তব্য করুন