মিরপুরের উইকেট কেমন? বোধ করি অনেক সময় বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টও এটা ঠিকঠাক বুঝতে পারেন না। সেখানে প্রতিপক্ষের জন্য তো রহস্যই হওয়ার কথা। স্লো টার্ন এই উইকেট নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করাও কঠিন। সেখানে ঠিক ৯ বছর পর বাংলাদেশ সফর করা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্যও ব্যাপারটা রহস্যময়ই ছিল। তবে তাদের সহযোগিতা মিলেছে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালের পরামর্শেই।
আরেকটু খোলাসা করে বললে, কেশভ মহারাজকে মিরপুরের উইকেট নিয়ে ধারনা দিয়েছিলেন তামিম। সেটাকে ম্যাচে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন এই প্রোটিয়া স্পিনার। প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে এখন পর্যন্ত সমান সংখ্যক উইকেট পেয়েছেন কেশভ—বলা যেতে পারে তামিমের পরামর্শে লাভবান প্রোটিয়ারাই।
বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার একাদশে ভিন্নতা আছে। যেখানে এক পেসার ও তিন স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। সেখানে দুই স্পিনার ও দুই পেসার নিয়ে একাদশ সাজায় প্রোটিয়ারা। টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে তাদের সিদ্ধান্ত যে মন্দ ছিল না, সেটা বুঝাই গেছে। কখনো পেসার, কখনোবা স্পিনার—দুই বিভাগেই সফলতা পাচ্ছে তারা। অবশ্য তাদের এই সফলতার সঙ্গে মিশে গেছে তামিমের নামও। বিশেষ করে পূর্বপরিচয় থেকেই তামিম থেকে পরামর্শ নিয়েছিলেন কেশভ। সেটা এখন গণমাধ্যমেও চলে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে তৃতীয় দিন শেষে প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রোটিয়া স্পিনারকে। সরল স্বীকারোক্তিতে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি তাকে একটি মেসেজ পাঠিয়েছিলাম। তার সঙ্গে আমার একটা ভালো সম্পর্ক আছে, অবশ্যই বিপিএলে খেলেছিলাম বলে। আমি কন্ডিশন নিয়ে কিছু ধারণা পেতে চাচ্ছিলাম এবং কীভাবে কী করা যায়। এ উইকেট কেমন আচরণ করে, সেটা নিয়ে সে (তামিম) আমাকে কিছু ধারণা দিয়েছে।’
তামিমের পরামর্শ যে ভুল ছিল না সেটাও নিশ্চিত করেছেন কেশভ। এমনকি এটি তার দলকেও উপকৃত করেছে বলে জানান তিনি, ‘এটা (তামিমের পরামর্শ) আমাদের দলের ক্ষেত্রেও কাজে এসেছে।’
মিরপুর টেস্টের উইকেট নিয়েও একটা পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন কেশভ। এ উইকেট দেখার পর দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানের ‘কিংসমিড ক্রিকেট গ্রাউন্ডের’ মতোই মনে হয়েছে তার। সেটা প্রথম দিকে একটু হার্ড থাকলেও ধীরে ধীরে স্পিন সহায়ক হয়ে উঠে। মিরপুরকেও কেশভের কাছে সেরকমই লেগেছে। আপাতত মিরপুরে বাংলাদেশের লিড ৮১ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্যও নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে যতটা দ্রুত সম্ভব গুটিয়ে দেওয়া এবং ম্যাচ জেতা। অবশ্য প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ভালো সংগ্রহ পাওয়াতেই নিজেদের আরামদায়ক অবস্থানেই দেখছেন এই প্রোটিয়া স্পিনার।
মন্তব্য করুন