দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের মধ্যকার চলমান টেস্ট ম্যাচের তৃতীয় দিনের শেষ ভাগে এসে বেরসিক বৃষ্টির বাঁধা পড়েছে। দ্বিতীয় সেশনের শেষের দিকের বৃষ্টির কারণে সমস্যা দেখা দেয়, যার ফলে আগেভাগেই চা-বিরতি নিতে হয়। বিরতির পর মাত্র ৫ ওভার খেলা হলেও খারাপ আলোর কারণে খেলোয়াড়দের আবার মাঠ ছাড়তে হয়। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আম্পায়াররা দিনের খেলা বন্ধ ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ভরাডুবির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৮১ রানের লিড নিয়েছে, তবে হাতে রয়েছে মাত্র ৩ উইকেট। মেহেদী হাসান মিরাজ এখনো ব্যাটিংয়ে আছেন, তবে তার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। তাকে টেলএন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশের জন্য একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক লক্ষ্য দিতে হলে প্রায় ১৫০ রানের লিড দরকার। তবে এই কঠিন পিচে সেটি করার জন্য আবহাওয়া সহায়ক হতে হবে।
আগামী দুই দিনে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, তবে আশাবাদী হওয়া যায় যে, পর্যাপ্ত সময় পাওয়া গেলে টেস্ট ম্যাচটি একটি স্বাভাবিক সমাপ্তি পেতে পারে। আজকের দিনটি মোট ৫৭.৫ ওভার খেলাই সম্ভব হয়েছে। কালকের খেলা ১৫ মিনিট আগে শুরু হবে (সকাল ৯:৪৫) যেন হারানো সময় পূরণ করা যায়।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দিনের খেলার শুরুতে বাংলাদেশ ১০১ রানে পিছিয়ে ছিল। দিনের শুরুতেই কাগিসো রাবাদা তাদের ওপর চাপ বাড়িয়ে দেন। তিনি মাহমুদুল হাসান ও মুশফিকুর রহিমকে মাত্র তিন বলের ব্যবধানে আউট করে দেন। এর কিছু পরেই কেশভ মহারাজ লিটন দাসকে এক অসাধারণ ডেলিভারিতে আউট করেন। ১১২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের অবস্থা তখন ছিল অত্যন্ত শোচনীয়।
তবে মেহেদী হাসান মিরাজ ও টেস্ট অভিষিক্ত জাকের আলী দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। বল উইকেটে টার্ন ও গ্রিপ করছিল, কিন্তু দুজনেই মজবুত টেকনিক ও নির্ভরযোগ্য ব্যাটিংয়ে দলের স্কোরকে এগিয়ে নিয়ে যান। এই জুটি সপ্তম উইকেটে ১৩৮ রানের মূল্যবান পার্টনারশিপ গড়েন এবং দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে উদ্ধার করে লিডে নিয়ে যান। জাকের আলী তার প্রথম টেস্ট ফিফটি করেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই মহারাজের দুর্দান্ত বলে উইকেট হারান।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) নতুন উদ্যমে খেলা শুরু হবে, তবে মিরাজের ওপরই দায়িত্ব থাকবে বাংলাদেশকে একটি নিরাপদ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার।
মন্তব্য করুন