মিরপুরে চলমান টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে প্রোটিয়াদের কাছে ধরাশায়ী হতে থাকলেও হাসানের সৌজন্যে দুর্দান্তভাবে মাঠে ফিরেছে বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদের টানা দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে টাইগাররা। প্রথমে ১১৯ রানের বড় জুটি ভেঙে স্লিপে সাদমান ইসলামের হাতে ওয়িয়ান মুল্ডারের ক্যাচ করান হাসান। এর পরের বলেই কেশব মহারাজকে ফেরান এই পেসার।
এদিকে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দক্ষিণ আফ্রিকা দিনের শুরুতেই ভালোভাবে এগিয়ে যায়। হাসানের আগ্রাসী বোলিংয়ের আগে তারা ৬ উইকেটে ২২৭ রান তুলেছিল। বিশেষ করে মুল্ডারের ইনিংসটি ছিল চোখ ধাঁধানো। বল হাতে টাইগারদের খাবি খাওয়ানোর পর ব্যাট হাতে তিনি টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন, যা বাংলাদেশি ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসের কারণে আরও বড় হয়েছিল। শর্ট লেগে মুমিনুল হক একটি সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন, যখন মুল্ডারের সংগ্রহ ছিল ৪৭ রান। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত ৫০ রান পূর্ণ করেন।
মুল্ডার ও ভেরেইনার জুটি বাংলাদেশের বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ জুটি হিসেবে রেকর্ড গড়ে। তাদের এই জুটি প্রোটিয়াদের শক্ত অবস্থানে নিয়ে যায়। এর আগে মুল্ডার ২০২২ সালে পোর্ট এলিজাবেথে কেশব মহারাজের সঙ্গে ৮০ রানের একটি জুটি গড়েছিলেন।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ১০৬ রানের জবাবে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রোটিয়াদের সংগ্রহ এখন ২৩৯/৮। যেখানে তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ১৩৩ রানের।
মিরপুরের উইকেটে গতকালের মতোই স্পিনারদের সহায়তা রয়েছে, তবে সকালের সেশনে পেসাররা কিছুটা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন বলে ধারণা করছেন পিচ রিপোর্টে শন পোলক। দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা দৃঢ়তা দেখালেও হাসান মাহমুদের আক্রমণাত্মক বোলিংয়ের কারণে প্রোটিয়ারা কিছুটা চাপে পড়ে।
এখন বাংলাদেশ দলের সামনে চ্যালেঞ্জ হলো দ্রুত প্রোটিয়াদের ইনিংস গুটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসে আরও শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানো।
মন্তব্য করুন