চলমান ভারত সফরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গী না হয়েও আছেন তামিম ইকবাল। নামিদামি তারকা ধারাভাষ্যকারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কুড়াচ্ছেন সুনাম। ধারাভাষ্যের পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কথা বলছেন জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক।
সম্প্রতি ভারতের ক্রীড়াবিষয়ক সাময়িকী স্পোর্টস্টারে যে মন্তব্য করেছেন তাতে প্রশ্ন উঠতে পারে দেশীয় কোচদের যোগ্যতা নিয়ে। তার মতে জাতীয় দলের দ্বিতীয় নেওয়ার মতো উপযুক্ত কোচ বাংলাদেশে নেই।
গত ১০ বছর ধরে ভারতীয় দলে প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করছেন স্থানীয়রা। নিজ দেশের সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের এ পদে নিয়োগ দেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এমনকি কয়েকদিন আগে শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পান দেশটির সাবেক অধিনায়ক সনাৎ জয়সুরিয়া।
প্রধান কোচের নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একই পথে হাঁটবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তামিম বলেন, ‘আমার মনে হয় না, প্রধান কোচ হওয়ার মতো যোগ্য কেউ এখন আছে বাংলাদেশে। এখন এমন দু-তিনজন আছেন, যাঁরা সহকারী কোচ হতে পারেন। কিন্তু আমার মনে হয় না, তাঁরা জাতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার উপযুক্ত।’
বিদেশিদের পাশাপাশি জাতীয় দলে দেশি কোচদের নিয়োগ দেওয়া উচিত বলে জানান তিনি, ‘বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে ৭০: ৩০ অনুপাত থাকা উচিত। প্রধান কোচ পদে একজন বিদেশি ও তাঁর সঙ্গে বড়জোর আরও দুজন বিদেশি কোচ থাকতে পারেন। সহকারী কোচ পদে বাকি ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি নিয়োগ করা উচিত। তাতে স্থানীয় কোচদের বেড়ে ওঠায় সাহায্য হবে এবং একদিন তাঁরা প্রধান কোচ হতে পারবেন।’
আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মেয়াদ। তবে সেই পদে ততদিন লঙ্কান এ কোচ রাখা হবে নি না তা আলোচনা চলছে। এমন কথা উসকে দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
সেই সূত্র ধরে তামিমের কাছে জানতে চাওয়া হয় কেমন হওয়া উচিত বাংলাদেশ দলের নতু কোচ। জবাবে তামিম বলেন, ‘বাংলাদেশের বড় নামের পেছনে ছোটা বন্ধ করা উচিত। কারণ, বিখ্যাত সবাই দলের জন্য ভালো কোচ হয় না। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য কারা মানানসই, সেটা তাদের (বিসিবি) খুঁজে বের করতে হবে। সেই ব্যক্তিকে কঠোর পরিশ্রমী হওয়ার পাশাপাশি দলে কিছু যোগ করার সামর্থ্য থাকতে হবে।’
উদাহরণ হিসেবে ডাচ ক্রিকেটারের কথা উল্লেখ করেন জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক, ‘রায়ান টেন ডেসকাট কি ক্রিকেটে খুব বড় নাম? তবু সে কিন্তু ভারতের কোচিং স্টাফের অংশ। আমাদের তার মতো মানুষ প্রয়োজন, যে পর্দার আড়ালে কাজ করবে। অভিষেক নায়ার কি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন? বিসিসিআই কেন তাহলে তাকে সহকারী কোচ হিসেবে পেতে চেয়েছে? কারণ, দলে ভালো কিছু যোগ করার মতো সামর্থ্য তার আছে। আমি যেটা শুনেছি, সে বেশ কয়েকটি দলে অবিশ্বাস্য কাজ করেছে এবং ভারতের কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গেও নিবিড়ভাবে কাজ করছে। আমাদের বড় নামের পিছু না ছুটে এমন সব ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে হবে।’
মন্তব্য করুন