শেষ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এবার অপেক্ষা টি-টোয়েন্টির ধুমধাড়াক্কা লড়াইয়ের। আগামী রোববার (৬ অক্টোবর) ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। গোয়ালিয়রের শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
ম্যাচটি নির্বিঘ্নে আয়োজনের জন্য কঠোর অবস্থান নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ভারত-বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি নিয়ে সব ধরনের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিন্দু মহাসভার বিক্ষোভের জেরে এমন নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্টের পরামর্শে ম্যাচের পরদিন ৭ অক্টোবর পর্যন্ত গোয়ালিয়রে বিক্ষোভসহ সব ধরনের উসকানিমূলক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর রুচিকা চৌহান।
ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস) আইনের ১৬৩ ধারা অনুযায়ী এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই বলছে, গোয়ালিয়রে ভারত-বাংলাদেশের ম্যাচ নিয়ে হিন্দু মহাসভাসহ কয়েকটি সংগঠনের বিক্ষোভের জেরে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা-নির্যাতনের অভিযোগে গোয়ালিয়রের ম্যাচটি বাতিলের দাবি তোলে সংগঠনগুলো। প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছে ৩০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
তবে ম্যাচটি ঘিরে ‘গোয়ালিয়র বন্ধ’-এর ডাক দেয় হিন্দু মহাসভাসহ অন্যান্য সংগঠন। ম্যাচটি বাতিলের দাবি তোলে সংগঠনগুলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমপিসিএ) ও স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
একই সঙ্গে কঠোর নিরাপত্তার পাশাপাশি দুই দলের ক্রিকেটারদের হোটেল থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে বাধা তৈরি করে এমন পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়ায় নিষেধ করা হচ্ছে। ধর্মীয় উত্তেজনা উসকে দেয়, এমন অডিও-ভিডিও, ছবিসহ কোনো ব্যানার, পোস্টার, কাটআউট, পতাকা এবং উত্তেজক বার্তা বহনকারী কিছু প্রচার করা যাবে না বলেও প্রচার করা হচ্ছে।
পাঁচজনের বেশি একত্র হওয়া, আতশবাজি বহন করা, ছুরি বা বর্শার মতো ধারালো অস্ত্রপাতি বহনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যে কোনো স্থাপনার ২০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কেরোসিন, পেট্রল ও অ্যাসিড বহনও নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে গোয়ালিয়রে নিরাপত্তা ও পরিবহন ব্যবস্থাপনায় প্রায় ১৬০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।
মন্তব্য করুন