প্রথমে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন পাকিস্তানের বাবব আজম। এর কয়েক ঘণ্টা পর একই ঘোষণা দেন নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি। এতে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ক্রিকেট বিশ্বে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বাবর। দ্বিতীয় দফায় এক বছরের কম সময় এ দায়িত্বে থাকতে পারেন তিনি। নিজের ব্যাটিংয়ে আরও মনোযোগী হতে এ সিদ্ধান্ত বলে জানান বাবর।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাবর লিখেছেন, ‘আমি আপনাদের একটি সংবাদ জানাব। আমি পাকিস্তান ক্রিকেট দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছি।’
এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণ হিসেবে তিনি লিখেছেন, ‘দলকে নেতৃত্ব দেওয়া ছিল দারুণ সম্মানের। কিন্তু এখন সময় হয়েছে আমার সরে দাঁড়ানোর এবং নিজের খেলার প্রতি মনোযোগ দেওয়ার। অধিনায়কত্ব অভিজ্ঞতা দেয়। কিন্তু এটা উল্লেখযোগ্যভাবে কাজের চাপও বাড়ায়। আমি নিজের পারফরম্যান্সকে অগ্রাধিকার দিতে চাই, নিজের ব্যাটিংকে উপভোগ করতে চাই এবং পরিবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত সময় কাটাতে চাই, যা আমাকে আনন্দ দেবে।’
এর আগে গত বছর ওয়ানডের বিশ্বকাপের পর অধিনায়ত্ব ছাড়েন তিনি। তবে অনেক নাটকীয়তার পর চলতি বছর মার্চে আবারও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে তাকে অধিনায়ক করা হয়। চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর আবারও সমালোচনার মুখে পড়েন বাবর। ফলে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন তিনি।
এদিকে টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি। শ্রীলঙ্কার কাছে হোয়াইটওয়াশের পর এ সিদ্ধান্ত নেন এ ফাস্ট বোলার। এরপরই টম ল্যাথামকে নতুন টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করে ক্রিকেট নিউজিল্যান্ড।
২০২২ সালে কেইন উইলিয়ামসন অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলে দায়িত্ব পান সাউদি। তার অধিনায়কত্বে ১৪ টেস্টের ৬টি টেস্টে জিতেছে কিউইরা। বাকি ৬টিতে হেরেছে তারা। আর অন্য ২টি ড্র করে।
এর মধ্য টানা চার ম্যাচে হারের পর দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন সাউদি, ‘কোনো সংস্করণে ব্ল্যাক ক্যাপদের নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য স্পেশাল, সম্মানের ও বড় পাওয়া ছিল। আমি পুরো ক্যারিয়ারে দলের চাহিদাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি, এবং আমি বিশ্বাস করি এই সিদ্ধান্তে দলের ভালোই হবে। আমি বিশ্বাস করি, দলকে আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার উপায় হচ্ছে মাঠে আমার পারফরম্যান্সে মনোযোগ দেওয়া, নিজের সেরাটা ফিরে পাওয়া, উইকেট নিতে থাকা এবং নিউজিল্যান্ডকে টেস্ট জেতাতে সাহায্য করা।’
মন্তব্য করুন