কানপুর টেস্টের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের বোলারদের উপর তাণ্ডব চালায় ভারতের ব্যাটাররা। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বেশ কয়েকটি বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা।
বিশ্ব রেকর্ডের শুরুটা হয় ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার ব্যাটিংয়ে। পরের গুলো দলীয় রেকর্ড। এ ছাড়া বিরাট কোহলিও গড়েছেন এক রেকর্ড। মুখোমুখি হওয়া প্রথম দুই বলে ছক্কা হাঁকান রোহিত। টেস্ট ইতিহাসে এটি চতুর্থ ঘটনা। চার দলের তিনজনই ভারতীয়। তবে ওপেনার হিসেবে এই কীর্তি গড়া প্রথম ক্রিকেটার রোহিত।
এর আগে সর্বপ্রথম ১৯৪৮ সালে এই কীর্তি গড়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফোফি উইলিয়ামস। ২০১৩ সালে চেন্নাইয়ে ভারতের শচিন টেন্ডুলকার, রাঁচিতে ভারতের উমেশ যাদব এই কীর্তি গড়েন।
১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে দ্রুততম দলীয় ৫০, ১০০, ১৫০, ২০০, ২৫০—সব রেকর্ড গড়েছে ভারত। শুধু তাই নয়, টেস্টে যেকোনো উইকেটে দ্রুততম ৫০ ছাড়ানো জুটি, এক বছরে সর্বোচ্চ ছক্কা ও পুরো ইনিংসে সর্বোচ্চ রান রেট—এ রেকর্ডগুলো রেকর্ড এখন ভারতের দখলে। এখন সবার ওপরে ভারতের নাম।
ওভারপ্রতি ৮.২২ গড়ে রান তুলেছে ভারত। টেস্ট ইতিহাসে পুরো ইনিংসে এটি সর্বোচ্চ। এরপর আগের রেকর্ডটিও ছিল ভারতের। ২০২৩ সালে পোর্ট অব স্পেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৪ ওভারে ভারত করেছিল ১৮১ রান। ওভারপ্রতি রান রেট ছিল ৭.৫৪।
যে কোনো উইকেটে দ্রুততম ৫০ ছাড়ানো জুটির রেকর্ড রোহিত ও জয়সোয়ালের। উদ্বোধনী জুটিতে ২৩ বলে ৫৫ রান করেন দুজন। রান রেট ১৪.৩৪! চলতি বছর জুলাইয়ে এজবাস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০ উইকেটে জয় পায় ইংল্যান্ড। সে দিন ৪৪ বলে ৮৭ রানে অবিচ্ছিন্ন থাকেন অধিনায়ক বেন স্টোকস ও বেন ডাকেট। রান রেট ছিল ১১.৮৬।
ব্যক্তিগত রেকর্ডে বিরাট কোহলি পেছনে ফেলেছেন ভারতীয় কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারকে। দ্রুততম ব্যাটার হিসাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৭ হাজার রান করেন কোহলি। একই সঙ্গে বিশ্বের চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে ২৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি।
২৭ হাজার রান করতে শচিনকে খেলতে হয় ৬২৩ ইনিংস। অন্যদিকে তার চেয়ে ২৯ ইনিংস কম খেলে এই নজির গড়লেন কোহলি। কোহলির এ অর্জনে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেন, ‘কোহলির বর্ণময় ক্রিকেটজীবনে আরও একটা মাইলফলক। ২৭ হাজার আন্তর্জাতিক রান করে ফেলল! তোমার আবেগ, ধারাবাহিকতা এবং সফল হওয়ার খিদে গোটা বিশ্বের কাছে অনুপ্রেরণা। অভিনন্দন বিরাট কোহলি, লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করার জন্য।’
মন্তব্য করুন